ঢাকা, শনিবার, ৩ কার্তিক ১৪৩১, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

মহারাষ্ট্র-ঝাড়খণ্ডে বাজিমাত দেখাতে পারবে ইন্ডিয়া?

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২৪
মহারাষ্ট্র-ঝাড়খণ্ডে বাজিমাত দেখাতে পারবে ইন্ডিয়া?

কলকাতা: জম্বু-কাশ্মীর ও হরিয়ানার নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর আরও দুটি রাজ্যে ভোট গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে ভারতীয় নির্বাচন কমিশন। মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ড রাজ্যের বিধানসভা ও পশ্চিমবঙ্গের ছয় বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে দেশটির জাতীয় কমিশন।

হরিয়ানায় সরকার গঠন করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। গত ৮ অক্টোবর এ রাজ্যে ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, অল্প ভোটে পরাজিত হয়েছে কংগ্রেস।

হরিয়ানায় এক শতাংশেরও কম ভোটে ব্যবধানে হার-জিত নির্ধারিত হয়েছে। জম্বু-কাশ্মীরে অবশ্য বাজিমাত করেছে কংগ্রেস ও এনসি জোট। বিজেপিকে ভরাডুবি খাইয়েছে।

মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ড রাজ্যের নির্বাচন নিয়ে ইসি প্রধান রাজিব কুমার মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) ঘোষণা দিয়েছেন, মহারাষ্ট্র বিধানসভার ভোট হবে এক ধাপে। মোট ২৮৮ আসন বিশিষ্ট এ রাজ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২০ নভেম্বর। আর ফল ঘোষণা ২৩ নভেম্বর।

অন্যদিকে মাত্র ৮১ আসন বিশিষ্ট ঝাড়খণ্ডের নির্বাচন হবে দুই ধাপে। রাজ্যটিতে নভেম্বরে ভোট হবে যথাক্রমে ১৩ ও ২০ নভেম্বর।

মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে এখন জোর চর্চা চলছে। বর্তমানে বিধানসভায় বিজেপি জোট ক্ষমতায় থাকলেও চলতি বছরের লোকসভা ভোটে মহারাষ্ট্রে ভালো ফল করে অন্যান্য জোট।

ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্রের ৪৮ লোকসভা আসনের মধ্যে মাত্র ১৮ আসনে জয় পেয়েছিল বিজেপি। বাকি ৩০ আসনই জয় পেয়েছে বিরোধী দলের জোট। বিশেষ করে যেসব বিধায়ক এখন শিবসেনা ও এনসিপি দলে আছেন। তাদের অধিকাংশই নিজেদের আসনে দলকে জেতাতে পারেনি।

মহারাষ্ট্রে লোকসভা ভোটের নিরিখে এবারের আসন্ন বিধানসভা ভোটের বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে বিজেপি জোটের (শিবসেনা প্রধান একনাথ শিন্ডে এবং অজিত পাওয়ারের দল এনসিপি) দখলে রয়েছে ১৮৫ বিধানসভা আসনের মধ্যে ৯০টিতে পিছিয়ে রয়েছে তারা। অন্যদিকে উদ্ভব ঠাকরে, শরদ পাওয়ার এবং কংগ্রেস জোটের দখলে থাকা ৭১ বিধানসভা আসনের মধ্যে মাত্র ১৩ টিতে পিছিয়ে তাদের জোট ‘মহাবিকাশ আঘাড়ি’। অর্থাৎ রাজ্যটির ২৮৮ বিধানসভা আসনে লিড নিয়ে রয়েছে মহাবিকাশ আঘাড়ি জোট।

অর্থাৎ মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোটের সরকার গড়তে প্রয়োজন ১৪৫ আসন। সেই হিসেবে রাজ্যটিতে কংগ্রেস জোট আসন্ন বিধানসভায় বিজেপি থেকে অনেকটাই এগিয়ে। অন্যদিকে ঝাড়খণ্ড রাজ্যটিতে গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি জোটের ঝুলিতে গিয়েছিল ২৮ আসন। সে রাজ্যের আঞ্চলিক দল জেএমএম এবং কংগ্রেস জোটের ঝুলিতে গিয়েছিল ৪৪ আসন। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) ৩০ আসন জিতেছিল। কংগ্রেস পেয়েছিল ১১ আসন।

তবে ঝাড়খণ্ডে লোকসভা ভোটে বিজেপি ভালো ফল করেছে। অর্থাৎ গত বিধানসভা ভোটে নিরিখে চলতি বছর হয়ে যাওয়া লোকসভা ভোটে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে সে রাজ্যের শাসক দল জেএমএম। এবারে লোকসভা ভোটে ১৪ আসনের মধ্যে ৯ আসনের জয় পায় বিজেপি। আর জেএমএম এবং কংগ্রেস জোটের ঝুড়িতে গিয়েছিল ৫ আসন। অর্থাৎ এবারের বিধানসভা ভোটের লড়াই যে এবার হাড্ডাহাড্ডি হতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে ঝাড়খণ্ডে কি বিরোধীদের জোট ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স (ইন্ডিয়া) ক্ষমতা দখল করতে পারবে? আর মহারাষ্ট্রে বিজেপি জোটকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারবে ইন্ডিয়া জোট? এর জবাব মিলবে আগামী ২৩ নভেম্বর।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২৪
ভিএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।