ঢাকা, রবিবার, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

‘মমতা শাড়ি’ বাজারে আনছে ‘তন্তুজ’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৪
‘মমতা শাড়ি’ বাজারে আনছে ‘তন্তুজ’ ছবি: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় /ফাইল ফটো

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন শিল্পী এই তথ্য পশ্চিমবঙ্গ সহ গোটা ভারতের রাজনৈতিক মহল ওয়াকিবহাল। তার আঁকা ছবি বিক্রি করে তিনি তার নিজের তৈরি দল তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটের খরচের একটা বড় অংশ তুলেছেন বলে তিনি দাবি করেন।

তার বিভিন্ন ভাষণে তিনি জোর দিয়েছেন হাতের কাজ, কুটীর শিল্প প্রভৃতি বিষয়ে।

শুধু তাই নয় বিনিয়োগের প্রস্তাব নিয়ে সিঙ্গাপুর সফরে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রীকে উপহার দিয়েছেন কাঁথার কাজ করা শাড়ি। যেটা পশ্চিমবঙ্গের ঐতিহ্যকে তুলে ধরবে।

অন্যদিকে বিরোধী দলগুলি সমালোচনার সুরে অভিযোগ করে মুখ্যমন্ত্রী শিল্প-সংস্কৃতির সাথে বাণিজ্যিক শিল্প উদ্যোগকে এক করে ফেলেছেন। আর তাই তার সবকটি অনুষ্ঠানে উদ্যোগপতিদের থেকে অনেক বেশি পরিমাণে নায়ক-গায়ক ইত্যাদি দেখা যায়।

এই সমস্ত সমালোচনার জবাব দিতেই সরকারি শাড়ি বিক্রয়কারী সংস্থা ‘তন্তুজ’ শারদ উৎসবে হাজির করছে তাদের নতুন শাড়ির সম্ভার। মুখ্যমন্ত্রীর নামে ‘মমতা শাড়ি’ বাজারে আনতে চলেছে তন্তুজ। যদিও সরকারি ভাবে শাড়ির নাম ঠিক করা হয়নি। তবে আশা করা করা হচ্ছে শাড়ির সঙ্গে অবশ্যই যোগ করা হবে মুখ্যমন্ত্রীর নাম।

প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছিল শাড়ির নক্সা গুলি আঁকবেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ব্যস্ততার ফলে তার নক্সার পরিকল্পনা জানিয়ে দেওয়া হয় শাড়ির নক্সা আঁকেন সেই সব শিল্পীদের। মুখ্যমন্ত্রী পরিকল্পনা মত তারা তাদের নক্সার রূপ দেন। সেই নক্সা অনুমোদন করেন মুখ্যমন্ত্রী।

পশ্চিমবঙ্গের ক্ষুদ্রশিল্প মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের জানান, তাদের আশা চলতি বছরে শারদ উৎসবের সময় অনেক বেশি চাহিদা দেখা যাবে তন্তুজের দোকানগুলিতে। সেই কারণে তারা সবরকমের প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছেন।

মন্ত্রী আরও জানান বাম সরকারের আমলে লোকসানে চলা ‘তন্তুজ’ গত বছর লাভের মুখ দেখেছে। তার আশা মুখ্যমন্ত্রী পরিকল্পিত শাড়ি বাজারে এলে লাভের অঙ্ক বাড়াতে পারবে ‘তন্তুজ’। এখন একমাত্র অপেক্ষা ‘মমতা শাড়ি’-এর বাজারে আসার।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।