কলকাতা: তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও রাজ্যসভার সংসদ সদস্য মুকুল রায়কে রাজ্যসভার দলনেতার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিলো তৃণমূল কংগ্রেস। এই দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে অপর তৃণমূল সংসদ সদস্য ডেরেক ও ব্রায়েন-এর হাতে।
তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে চিঠি দিয়ে রাজ্যসভার স্পিকারকে এ আবেদন করা হয়। সেই আবেদনের ভিত্তিতে ভারতের রাজ্যসভার স্পিকার হামিদ আনসারি একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন।
শনিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিজ্ঞপ্তির খবর প্রকাশ্যে আসতেই পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। কিছুদিন আগে থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ের দূরত্ব তৈরি হয়।
অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের জন্মলগ্ন থেকে দলের সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মুকুল রায়ের এই ডানা ছাঁটার কারণ নিয়ে পর্যালোচনা শুরু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে।
সারদা কাণ্ডে সিবিআই জেরার পর থেকেই দূরত্ব শুরু হয় মুকুল রায় ও তৃণমূল কংগ্রেসের ভিতর। এর মধ্যে ভারতের অর্থমন্ত্রী বিজেপি নেতা অরুণ জেটলির সঙ্গে দেখা করেন মুকুল রায়।
সূত্রের খবর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও দেখা করার চেষ্টা করেছিলেন মুকুল রায়।
তারপরেই শুরু হয় মুকুল রায়ের দল ছাড়ার জোর জল্পনা। এ ঘটনার পরেই তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো।
এরপর মুকুল রায় কি করেন সেটাই এখন দেখার। তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব চরম সীমায় চলে গেলেও এখনও পর্যন্ত দলবিরোধী কোনো কথা বলেননি মুকুল রায়। যদিও দলনেতার পদ চলে যাওয়ার পর তার পক্ষ থেকে এখনও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায় নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৫