কলকাতা: কথায় বলে চোখ মনের আয়না। সুন্দর সৃষ্টিকে দেখা, উপভোগ করার একমাত্র উপায় চোখ।
পরিবেশ দূষণ, প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মেলাতে দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটার, ল্যাপটপ, স্মার্টফোনে চোখ রাখা, ঘরে-বাইরে চোখের সঠিক যত্ন না নেওয়ায় মূলত ক্ষতিগ্রস্ত হয় আমাদের চোখ। কয়েটা মুহূর্ত চোখ বন্ধ করুন। তারপর একটু ভাবুন সেই মানুষের কথা, যার চোখের সামনে শুধুই অন্ধকার!
চোখের সামান্যতম ক্ষতিতেও যদি সঠিক চিকিৎসা না হয় তাহলে এই অন্ধকার নেমে আসতে পারে যেকোনো মানুষের জীবনে।
আধুনিক চিকিৎসায় প্রায় চোখের জটিল থেকে জটিলতর সমস্যার সমাধান এখন হাতের মুঠোয়। আর তুলনামূলক কম খরচে চিকিৎসা ও নির্ভরতায় ভারতের উপর নির্ভরশীল বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ। বর্তমান ভারতের চোখের অত্যাধুনিক চিকিৎসায় সর্বশ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্থান করে নিয়েছে ভাসান আই কেয়ার।
অর্ধশতকের বেশি সময় ধরে গোটা ভারতে আন্তর্জাতিক মানের চোখের চিকিৎসা দিয়ে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি। রোগীদের চাহিদা ও প্রয়োজন মাথায় রেখে আজ বিশ্বের বৃহত্তম আই কেয়ার নেটওয়ার্ক হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে এই সুপার স্পেশাল হাসপাতালটি।
শুধু ভারতে নয়, ভাসান আই কেয়ার তাদের শাখা স্থাপন করেছে ইউনাইটেড আরব আমিরাত এবং প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কায়ও।
গোটা ভারতে ১৮০টির বেশি হাসপাতাল রয়েছে এই গোষ্ঠীর। প্রতিটি হাসপাতালে সর্বাধুনিক চিকিৎসা করা হয়। আর এই হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসা দিতে রয়েছেন ভারতের শ্রেষ্ঠ ৭শ ৫০ জনেরও বেশি চক্ষু চিকিৎসকের একটি দল। আর এই চিকিৎসকদের সাহায্য করার জন্য রয়েছেন ৭ হাজার ৫শ জনেরও বেশি কর্মী।
ভাসান আই কেয়ার হাসপাতালে প্রতিদিন ২০ হাজারের বেশি রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, প্রতিদিন ৭শ এর বেশি রোগীর অস্ত্রোপচার হয় ভাসান আই কেয়ার হাসপাতালগুলিতে। এর মাধ্যমেই বোঝা যায় এ প্রতিষ্ঠানের পরিষেবার ব্যাপ্তি।
ভাসান আই কেয়ারের প্রতিটি হাসপাতাল সুপরিকল্পিতভাবে সাজানো। যেখানে একটি ছাদের তলায় চোখের যে কোনো সমস্যার চিকিৎসা পাওয়া যায়। মোট ৩৮টি আই কেয়ায় স্পেশালটিসহ বিস্তৃত পরিসরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা প্রত্যেক রোগীকে ব্যক্তিগতভাবে যত্ন নেন। শিশুদের জন্যও রয়েছে বিশেষ বিভাগ।
তবে কেউ যদি ভেবে থাকেন এই অত্যাধুনিক চিকিৎসা খুবই খরচসাপেক্ষ, তবে তার ধারণা একদমই ভুল।
মাত্র ১০০ রুপি খরচ করলেই আপনি ভাসান আই কেয়ার হাসপাতালে বিশ্বমানের চিকিৎসকদের কাছে আপনার চোখের পরীক্ষা করাতে পারেন। একই ছাদের তলায় আপনি পেয়ে যাবেন ওষুধও।
প্রথম বার ১০০ রুপি লাগলেও পরেরবার লাগবে মাত্র ৮০ রুপি। শুধু আনতে হবে আপনাকে দেওয়া স্মার্ট কার্ডটি। যেখানে থাকবে আপনার চোখের চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য। সেটি ভাসান আই কেয়ার হাসপাতালের যেকোনো কেন্দ্রে দেখালে চিকিৎসক দেখতে পেয়ে যাবেন আপনার চিকিৎসার সমস্ত বিষয়।
সাধারণ ধারণায় একজন চিকিৎসকই একজন রোগীর পরীক্ষা করেন। কিন্তু ভাসান আই কেয়ার হাসপাতালে হাজির হলে আপনাকে অন্তত তিন ধরনের পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে এগোতে হবে। আর প্রতি পরীক্ষার তত্ত্বাবধানে থাকবেন একজন করে চিকিৎসক। চিকিৎসকের কনসালট্যান্সি ফি মাত্র ১০০ রুপি।
অবাক হলেও এটাই বাস্তব। সাধারণ মানুষের জন্যও আধুনিক পরিষেবার বাস্তবতাই অন্যদের থেকে আলাদা করেছে ভাসান আই কেয়ারকে। এত কম খরচে বিশ্বমানের চিকিৎসার জন্যই ভারতে আলাদা জায়গা করে নিয়েছে এই চক্ষু হাসপাতাল।
এখানে রয়েছে ৫০ বছরের উপরের মানুষদের জন্য বিশেষ ছাড়। আরও রয়েছে আন্তরিক পরিবেশ। যেখানে রোগীর মনেই হবে না তিনি বাড়ির বাইরে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বসে সময় কাটাতে থাকলে এককাপ চা-ও জুটে যাবে আপনার। এসব কথা জানালেন ভাসান আই কেয়ার হাসপাতালে চোখের অপারেশন করে বাড়ির পথে থাকা এক রোগী।
রোগীদের সঙ্গে কথা বলে আরও জানা গেলো, প্রতিটি সমস্যার জন্য আলাদা আলাদা ব্যবস্থা থাকায় তাদের যথেষ্ট সুবিধে হয়। এরফলে তারা কম সময়ে শ্রেষ্ঠ মানের চিকিৎসা পেয়ে থাকেন। ভাসান আই কেয়ার হাসপাতালে রয়েছে অত্যাধুনিক অপারেশন সেন্টার, প্রতি পরিষেবার জন্য দশটিরও বেশি ডাইগনেস্টিক সেন্টার, বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিকতম চিকিৎসার সরঞ্জাম।
রোগীরা আরও জানালেন, এই হাসপাতালে না এলে তাদের ধারণাই হতো না চোখের অত্যাধুনিক চিকিৎসা কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে। তারা জানান, এখানকার চিকিৎসকরা শুধু ভালো চিকিৎসা করেন তাই নয়, তারা রোগীকে তার সমস্যা সম্পর্কে বুঝিয়েও দেন এবং প্রতিটি পদক্ষেপে রোগীকে সাহায্য করেন।
গ্লুকোমা চিকিৎসা, রেটিনার চিকিৎসা, আধুনিকতম ছানি অপারেশন, কর্নিয়ার চিকিৎসা, ল্যাসিক লেজার চিকিৎসা, ইমপ্ল্যান্টেবল কন্ট্যাক্ট লেন্স বা চশমা প্রতিটি ক্ষেত্রেই আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখে ভাসান আই কেয়ার হাসপাতাল। তবে সব থেকে গুরুত্ব পূর্ণ বিষয় এই চিকিৎসার খরচ সাধারণ মানুষের হাতের মুঠোয়।
শুধু সাধারণ চোখের চিকিৎসাই নয়, অতি সূক্ষ্মও চিকিৎসাও করেন ভাসান আই কেয়ারের বিশ্বের শ্রেষ্ঠ চিকিৎসকরা। তাই গোটা পৃথিবীর থেকেই অনেক সেলিব্রেটি, অভিনয় জগতের মানুষরা তাদের চোখের মনির রং স্থায়ীভাবে পাল্টানোর তো জটিল চিকিৎসার জন্য দ্বারস্থ হন ভাসান আই কেয়ার হাসপাতালের। চিকিৎসার পরিভাষায় যাকে বলা হয় কসমেটিক আই সার্জারি।
শুধু ভারত নয়, ভারতের প্রতিবেশী বিভিন্ন দেশ যেমন নেপাল, মায়ানমার, বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন বহু মানুষ কলকাতার ভাসান আই কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসেন। আর বাংলাদেশসহ সব দেশের মানুষের জন্যই সুযোগ সমান।
কলকাতার সল্টলেক, কসবায় ভাসান আই কেয়ারের নিজস্ব হাসপাতাল রয়েছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন মনোরম পরিবেশ, কর্মীদের আন্তরিক সহযোগিতা, বিশ্বমানের ইন্টেরিয়রও আপনার নজর কাড়বে। সেই তুলনায় খরচ একেবারেই হাতের নাগালে। তাই বিশ্বমানের চিকিৎসা পেতে হলে আপনাকে আসতেই হবে ভাসান আই কেয়ার হাসপাতালে। হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা, আপনার সমস্যা, সম্ভাব্য সমাধান প্রভৃতি বিষয়ে জানতে মেইল করতে পারেন [email protected] –এ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫১ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৫
এএ