কলকাতা: অস্বাভাবিক গরমের কারণে কলকাতার নিউমার্কেটে ৮০ শতাংশ বেচাবিক্রি কমে গেছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার ব্যবসায়ীরা।
তাপমাত্রার তীব্রতা ও অসহ্য গরমের কারণে ব্যবসায় মন্দা দেখা দিয়েছে কলকাতার নিউমার্কেট ও হগ মার্কেটে।
ব্যবসায়ীরা জানালেন, গত এক মাসে বেচাবিক্রি কমেছে প্রায় ৮০ শতাংশ। নিউমার্কেট কলকাতার অন্যতম প্রধান বাজার। শুধু কলকাতাই নয়, কলকাতার আশেপাশের অঞ্চল থেকেও এখানে কেনাকাটা করতে আসেন ক্রেতারা। স্থানীয়রা ছাড়াও কলকাতায় ভ্রমণ করতে আসা দেশি-বিদেশি বিশেষ করে বাংলাদেশি পর্যটকরা তো রয়েছেনই।
নিউমার্কেটের ভেতরে প্রায় দুই হাজার দোকান রয়েছে। এছাড়া মূল বাজারের বাইরে নিউমার্কেট এলাকার ফুটপাত জুড়ে রযেছে আরও দুই হাজার দোকান। কিন্তু অস্বাভাবিক তাপমাত্রা আর প্রচণ্ড গরমের ফলে কেনাবেচা প্রায় শিকেয় উঠেছে এসব দোকানিদের। বিকেলের দিকে সূর্যের তাপ কমে এলে ক্রেতার সংখ্যা কিছুটা বাড়ে। তবে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ফাঁকা দোকানে বসে গল্পগুজব করে আর খবরের কাগজ পড়ে দিন কাটাচ্ছেন দোকানিরা।
কলকাতার তাপমাত্রা এতোটাই অস্বাভাবিক হয়ে পড়েছে যে, বিশেষ কাজ না থাকলে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রাস্তায় না বেরোনোর পরামর্শ দিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।
এদিকে সকাল দশটার দিকে দোকানিরা তাদের পসরা খুলে বসলেও অনেকে প্রথম ক্রেতা পাচ্ছেন বিকেল ৫টা নাগাদ। নিয়ম অনুযায়ী রাত ৮টার সময় বাজার বন্ধ হয়ে যায়। তবে ফুটপাতের দোকানগুলো আরও কিছু সময় খুলে রাখলেও বিক্রি প্রায় নেই বললেই চলে।
তবে ব্যবসা জমে উঠেছে ঠাণ্ডা পানীয় ব্যবসায়ীদের। নিম্বু পানি, আইসক্রিম আর শরবতের দোকানগুলো জমজমাট হয়ে ওঠেছে।
ফুটপাতে ব্যাগের পসরা সাজিয়ে বসা সোহেল জানান, সকালের দিকে কোনো বিক্রি নেই। বরং ব্যবসা চালানোর খরচ হিসাব করলে, প্রতিদিনই লোকসান হচ্ছে। বিকেলের পরে ক্রেতাদের সংখ্যা বাড়লেও তা আশানুরূপ নয়।
গরমে মানুষের চলাচল খুবই কম, ব্যবসায় মন্দা। ফলে অনেক বিক্রেতা দোকানও খুলছেন না সেভাবে।
হগ মর্কেটের ভেতরের বোম্বে ড্রাই ফ্রুটের মালিক এম অার রাজা বলেন, এ গরমে কলকাতার মানুষ নিউমার্কেটের দিকে কেনাকাটার জন্য অাসছেন না। এখন আমাদের মুল ক্রেতা হয়ে দাড়িয়েছেন বাংলাদেশি পর্যটকরা।
কলকাতার গরম শুধুমাত্র মানুষের মৃত্যুর কারণই হয়ে উঠছে না, অধিকাংশ ব্যবসায়ীর পেটের ভাতও কেড়ে নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেন এ ব্যবসায়ী।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০১৫
ভিএস/এসএন/এএসআর