ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

বামফ্রন্ট সরকারের দায়-দেনার হিসাব তৈরি হচ্ছে

আনোয়ারুল করিম ও রক্তিম দাশ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৫ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১১
বামফ্রন্ট সরকারের দায়-দেনার হিসাব তৈরি হচ্ছে

রাইটার্স বিল্ডিং (কলকাতা) থেকে: নতুন সরকারের কাজ শুরুর আগেই রাজ্যের রাজস্ব তহবিল ও আয়-ব্যয়- দায়দেনার হিসাব তৈরি করছে পশ্চিমবঙ্গের অর্থ মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার দুপুরের পর বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠক করেন রাজ্যের অর্থসচিব সি এম বাচাওয়াত।



মঙ্গলবার ডালহৌসি স্কয়ারে অবস্থিত ‘রাইটার্স বিল্ডিং’খ্যাত রাজ্য সরকারের সচিবালয় ‘মহাকরণ’ ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।  

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের নিজস্ব খরচ ও উন্নয়ন কার্যক্রম চালানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে থেকে অর্থ নিয়ে আসা হয়।

২০১০-১১ অর্থবছরে প্রতিমাসে পশ্চিমবঙ্গের খরচ হতো ৪ হাজার ৭৮৫ কোটি রুপি। সরকারি অনুদান বাদে মাসে আয় হতো গড়ে ২ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা। এ অর্থবছরে রাজ্যের বাজেট ঘাটতি ছিল ২৯ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকা।

রাজ্যের বাজেট ঘাটতির কথা মাথায় রেখে নির্বাচনে জয়ী তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি এরইমধ্যে অর্থ বরাদ্দের জন্য কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জির সঙ্গে কথা বলেছেন।  

রাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের হিসাবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক ও স্বায়ত্বশাসিত সংস্থার কর্মীদের বেতন, পেনশন, সাম্মানিক বৃত্তি ও স্বাস্থ্যসেবা বাবদ মাসে খরচ হয় গড়ে প্রায় ২ হাজার ৮১৭ কোটি টাকা।

অর্থসচিব সি এম বাচাওয়াত মঙ্গলবার মহাকরণে নিজ দপ্তরে বাংলানিউজকে বলেন, ‘রাজ্যের মন্ত্রণালয়গুলোর বাজেট ও খরচের হিসাব জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ’

তিনি বলেন, ‘ট্রেজারিতে আটকে থাকা বিল এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে কেন্দ্রীয় বরাদ্দের সঙ্গে রাজ্য সরকারের দেয় অংশের কত টাকা বকেয়া রয়েছে, তাও জানাতে বলা হয়েছে। ’

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নিজস্ব তহবিলে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় বিগত বছরগুলোতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের ভাগাভাগি করে খরচ করা অনেক উন্নয়ন প্রকল্প বাতিল হয়ে গেছে। কারণ রাজ্য সরকার তার হিস্যার অর্থ সময়মতো দিতে পারেনি।

বিগত বামফ্রন্ট সরকার রাজ্যের খরচ চালানোর জন্য বেশ কয়েকবার বাজার থেকে ঋণও নিয়েছে।

অর্থমন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আর্থিক বিষয় ব্যবস্থাপনায় কেন্দ্রীয় সরকারের জারি করা ‘আর্থিক দায়বদ্ধতা এবং বাজেট নিয়ন্ত্রণ আইন’ পশ্চিমবঙ্গে চালু করেনি বামফ্রন্ট সরকার।

তাদের বক্তব্য ছিল, ‘এই আইন চালু হলে রাজ্যের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে রাজ্য সরকারের ভূমিকা খর্ব হবে। ’ এই আইন রাজ্যে কার্যকর না হওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকারের অনেক আর্থিক সুবিধাও পায়নি বামফ্রন্ট সরকার।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।