ঢাকা, শনিবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জুন ২০২৪, ২১ জিলহজ ১৪৪৫

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

পশ্চিমবঙ্গের শান্তিপুর-ফুলিয়ার তাঁতিপাড়ায় ঈদব্যস্ততা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০১৫
পশ্চিমবঙ্গের শান্তিপুর-ফুলিয়ার তাঁতিপাড়ায় ঈদব্যস্ততা সংগৃহীত

কলকাতা: ঈদ উপলক্ষে ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার শান্তিপুর ও ফুলিয়ার তাঁত-সিল্ক শাড়ির। আর এ চাহিদ‍ার যোগান দিতে গিয়ে দিনরাত কাজ করছেন ফুলিয়া ও শান্তিপুরের তাঁতিরা।



পশ্চিমবঙ্গের এই দু’টি জায়গা তাঁতের শাড়ির জন্য বিখ্যাত। এলাকার প্রায় প্রতিটি ঘরে তাঁত বোনার শব্দ কানে আসছে সবসময়। চাহিদা অনুযায়ী শাড়িতে তোলা হচ্ছে নানা ধরনের নকশা।

প্রতি বছর শারদ উৎসবের আগে থেকে শোরগোল পড়ে যায় ফুলিয়া ও শান্তিপুরের তাঁতি পাড়ায়। এ বছর শারদ উৎসবের প্রায় তিন মাস আগে উদযাপিত হচ্ছে ঈদ। তাই অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন তাঁতিরা। কিন্তু তাতেও শেষবেলায় প্রায় দিনরাত কাজ করতে হচ্ছে।

তাঁতিরা বলছেন, এবছর ঈদের কাপড়ের চাহিদা অন্য বছরের চেয়ে অনেক বেশি। দু’টি বড় উৎসবে প্রায় তিনমাসের ব্যবধান থাকাই চাহিদা বাড়ার অন্যতম কারণ। সবকিছু ঠিক থাকলে এবার ঈদ মৌসুমে লাভ ভালোই হবে।

শান্তিপুর ও ফুলিয়া এলাকায় প্রায় ১২ হাজারের বেশি তাঁত রয়েছে। মোট ৩০ হাজার মানুষ এ কাজের সঙ্গে যুক্ত। এসব তাঁত থেকে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশসহ আমেরিকা, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ডে শাড়ি রপ্তানি করা হচ্ছে বলে জানা যায়।

এর মধ্যে বালুচরি, হ্যান্ডি ব্লক, জুট কাতান, জামদানি, সিল্ক, ধুপিয়ান, ঝলক কাতানের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। ৫৫০ রুপি থেকে ১০ হাজার বা তার অধিক দামেরও শাড়ি তৈরি হচ্ছে এখানে।

শাড়ি ছাড়াও এবছর চাহিদা রয়েছে সিল্কের থ্রি-পিসের। অনেক তাঁতি শুধুই থ্রি পিস যোগান দিচ্ছেন।

তাঁতিরা আরও জানান,  ঈদের জন্য চাহিদা বেশি থাকায় এ মাসে বিশেষ বোনাস পেয়েছেন অনেকই।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৫
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।