কলকাতা: টানা বৃষ্টিতে পশ্চিমবঙ্গের ১২টি জেলা এখন বন্যার কবলে। এতে চাষের জমি তলিয়ে যাওয়া ও পণ্য পরিবহন বাধাগ্রস্ত হওয়ায় কলকাতার কাঁচাবাজারে কয়েক গুন বেড়েছে খাদ্যদ্রব্যের দাম।
কলকাতার বাজারে অধিকাংশ সবজি আসে বাইরের জেলাগুলি থেকে। ওইসব জেলায় বন্যা হওয়ায় সৃষ্টি হয়েছে এ পরিস্থিতির।
বন্যার কারণে জেলা থেকে চাহিদা অনুযায়ী সবজি আসতে পারছে না। কলকাতার আশপাশের অঞ্চলগুলি থেকেও সবজি বিভিন্ন বাজারে আসে। উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা, হাওড়া, হুগলী জেলাও জলের তলায়। এসব নিকটবর্তী জেলা থেকেও সবজি আশা প্রায় বন্ধ।
সোমবার (০৩ আগস্ট) কলকাতার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত এক সপ্তাহ আগের দামের প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে প্রতিটি সবজির দাম। এরই মধ্যে কলকাতার বিভিন্ন খুচরো বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে হয়েছে ৯০-১০০ রুপি প্রতি কেজি। গত সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম ছিলো ৫০ রুপি প্রতি কেজি। দ্বিগুণ হয়েছে কাঁচা মরিচের দামও। ৫০ রুপি প্রতি কেজি থেকে এক সপ্তাহে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০০ রুপিতে।
এক সপ্তাহ আগেও ঝিঙে বিক্রি হয়েছে ৪০ রুপি প্রতি কেজি। সেখান থেকে বর্তমান ঝিঙের দাম ৬০ রুপি। ঢেঁড়শের দাম ২৬ রুপি প্রতি কেজি থেকে বেড়ে হয়েছে ৫০ রুপি প্রতি কেজি। কেজি প্রতি ১০ থেকে ১২ রুপি বেড়েছে পটল, বরবটি, বেগুনের দামও।
একইসঙ্গে বেড়েছে মাছ, মাংসের দামও। কলকাতার বাজার থেকে উধাও ইলিশ মাছ। জোগান নেই সামুদ্রিক মাছেরও। জেলেদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করেছে প্রশাসন। তাই দেখা নেই সামুদ্রিক মাছের। মাছের দাম বেড়েছে প্রায় ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ।
খুচরো ও পাইকারি বিক্রেতাদের মতে, আগামী কিছুদিন চড়া থাকবে বাজার। কারণ বন্যার জল নেমে গেলেও চাষের যে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে সেটি পূরণ করতে আরও কয়েক মাস লেগে যাবে চাষিদের।
একমাত্র শীতের সবজি উঠলে তখন কমতে পারে বাজারদর। তার আগে বাজারের অগ্নিমূল্য কমার কোনো সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০১৫
ভিএস/এএ