কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের মানচিত্রে নতুন যোগ হতে চলেছে ছয়টি ‘থিম সিটি’। ছয়টি থিমের উপর ভিত্তি করে পশ্চিমবঙ্গের ছয়টি শহরকে সাজানো হবে নতুন করে।
জানা যায়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একান্ত ভাবনা থেকেই এ থিম সিটি। এতে সহযোগিতা করছেন পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীরা।
কেমন হবে এ থিম সিটি? সংস্কৃতি, শিল্প , ক্রীড়া, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, তথ্য বিশ্লেষণ- শুধু প্রবীণ নাগরিকদের বসবাসের জন্য আলাদা আলাদাভাবে এই থিমের উপর ভিত্তি করে শহরগুলি পুনর্নির্মাণ করা হবে।
সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন শিল্প ও বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলিকে এ প্রকল্পে যুক্ত করা হবে। কলকাতার পাশে আসানসোল শহরে গড়া হবে ‘শিল্প নগরী’, কলকাতার অনতিদূরে কল্যাণী অঞ্চলে তৈরি হবে ‘তথ্য বিশ্লেষণ নগরী’। এছাড়া শিলিগুড়ি শহরে হবে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য নগরী। কলকাতা থেকে এক ঘণ্টারও কম দূরে বারুইপুর গড়ে তোলা হবে ‘বরিষ্ঠ নগরী’।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিধন্য শান্তিনিকেতনে নির্মাণ হবে ‘সংস্কৃতি নগরী’, আর কলকাতার পাশের জেলা হাওড়া জেলার ডুমুরজলা এলাকায় গড়ে তোলা হবে ‘ক্রীড়া নগরী’। প্রতিটি ‘থিম সিটি’-এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে একটি করে বণিকসভাকে।
মনে করা হচ্ছে, একদিকে যেমন এই থিম সিটিগুলি অভিনব, অন্যদিকে দেশেই বিদেশি বিনিয়োগ টানতে এলাকাগুলিতে বিশেষ সুবিধা দেবে সরকার। এর ফলে একদিকে যেমন শহর কলকাতার উপর চাপ কমবে, অন্যদিকে এসব অঞ্চল ও এর সংলগ্ন এলাকাগুলির অর্থনীতিক বিকাশ হবে।
কলকাতার অন্যতম সমস্যা একা থাকা বয়স্ক মানুষরা। এরা অনেকেই নিঃসন্তান অথবা সন্তানরা বিদেশে থাকেন। জানা যায়, কলকাতার অদূরে বারুইপুরে ঘর-বাড়ি, রাস্তাঘাট-সহ সব ক্ষেত্রে বয়স্ক নাগরিকদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে উপনগরী গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হবে। ঠিক সেভাবেই গড়া হবে থিম সিটিগুলি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৫
ভিএস/এএ