কলকাতা: কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল গ্রন্থাগারের দরজা সাধারণ দর্শকদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে। এতদিন শুধুমাত্র বিশেষ অনুমতি সাপেক্ষে গবেষক বা ইতিহাসবিদেরা এ গ্রন্থাগারে প্রবেশের অনুমতি পেতেন।
এখন থেকে শুধুমাত্র সাধারণ মানুষই নন, স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের জন্যও গ্রন্থাগারের দরজা খুলে দেওয়ার কথা ভাবছে কর্তৃপক্ষ। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল গ্রন্থাগারে প্রায় ১৭ হাজারের মতো বই সংরক্ষণ করা আছে।
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের বাইরের মাঠে আপাতত একটি অস্থায়ী কাঠামো নির্মাণ করা হবে। তারপর সেখানে সাধারণদের জন্য গ্রন্থাগারের দরজা খুলে দেওয়া হবে। পরে সম্পূর্ণ কাচের একটি কাঠামো নির্মাণ তৈরি করে পাকাপাকিভাবে সেখানে গ্রন্থাগার নির্মাণ করবে কর্তৃপক্ষ।
কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের হেরিটেজ বৈশিষ্ট্যের কথা মাথায় রেখেই এ কাঠামো নির্মাণ করা হবে।
তারা জানান, কাচের তৈরি কাঠামোর মধ্য দিয়ে সরাসরি ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের হলঘরটি দেখা যাবে।
এ বাড়ি নির্মাণে অভিনব পদ্ধতি অবলম্বনের কথাও জানিয়েছেন তারা। তারা বলছেন, গ্রন্থাগারের কাঠামোটি কারখানায় তৈরির পর তা ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে জুড়ে দেওয়া হবে।
সম্প্রতি, ভারতের হরিয়ানায় এ পদ্ধতি ব্যবহার করে মাত্র দু’দিনে একটি বহুতল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এ নতুন পদ্ধতি ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের গ্রন্থাগারের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হবে।
তবে দুর্লভ বই সংরক্ষিত থাকায় নিরাপত্তার জন্য বিশেষ নিরাপত্তা পদ্ধতি অবলম্বন করা হবে। আরেকটি সুখবর হলো ভিক্টোরিয়া মোমেরিয়ালে সংরক্ষিত সব বইকে ডিজিটাল রূপ দেওয়া হচ্ছে।
অনেক দিন ধরেই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের গ্রন্থাগার সাধারণ পাঠকদের জন্য খুলে দেওয়ার দাবি ছিল। কলকাতাবাসীসহ বিদেশি পর্যটকদের মধ্যেও ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল নিয়ে উৎসাহ রয়েছে। সে কারণে বিদেশি পর্যটকদের কাছেও গ্রন্থাগারের অমূল্য বইয়ের প্রতি যথেষ্ট আগ্রহ থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে কবে নাগাদ গ্রন্থাগারটি সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে, তা জানা যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৫
ভিএস/এসএইচ/এবি