কলকাতা: কলকাতার শারদীয় দুর্গোৎসবের ‘থিম’-এ এবার এলো ছিটমহল হস্তান্তর। দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম বড় দুর্গাপূজার উদ্যোক্তা কসবা শক্তি সঙ্ঘের পূজামণ্ডপে উঠে আসবে অধুনালুপ্ত ছিটমহলের গ্রাম, সেখানকার পরিবেশ, মানুষজন এবং ইতিহাসের নানা দিক।
দক্ষিণ কলকাতার এই পূজামণ্ডপে তুলে ধরা হবে সীমান্তে বিএসএফ ও বিজিবি জওয়ানদের নিরাপত্তা প্রদানসহ ছিটমহল সংক্রান্ত নানা ধরনের তথ্য।
‘থিম’ পূজা কলকাতার শারদ উৎসবের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। বিভিন্ন মণ্ডপ নতুন নতুন ‘থিম’কে সামনে রেখে তৈরি করা হয়। এ ‘থিম’-এর মাধ্যমে শিল্পী তার বার্তাকে জনগণের সামনে তুলে ধরেন।
কসবা শক্তি সঙ্ঘের মণ্ডপে আসা দর্শনার্থীরা জানতে পারবেন ছিটমহলের ইতিহাস। সেখানকার মানুষের লড়াই-সংগ্রামের কথা। আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানা গেছে, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের একটি নতুন দিক উন্মোচন করেছে ছিটমহল হস্তান্তর। সেই দিকটি যথাসম্ভব নিখুঁতভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করা হবে।
কলকাতার শারদ উৎসবে এর আগে নানা ধরনের ‘থিম’ হলেও এ ধরনের কূটনৈতিক বিষয় নিয়ে ‘থিম’ এর আগে হয়েছে বলে শোনা যায়নি। সেই অর্থে এই বিষয়টি শারদ উৎসবের ‘থিম’ হিসেবে অভিনব।
দুই দেশের কাছেই ছিটমহল হস্তান্তর একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। আর দুই দেশের মধ্যেকার বন্ধুত্বের সম্পর্কটিকে মাথায় রেখেই এ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আয়োজকদের আশা, তাদের এ প্রচেষ্টা অধুনালুপ্ত ছিটমহলের মানুষদের লড়াই এবং দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রতি এর মাধ্যমে তারা সম্মান জানাতে পারবেন।
আয়োজকরা আরও আশা করছেন, এর ফলে কলকাতা তথা আশেপাশের মানুষের কাছে বিষয়টি আরও বেশি পরিষ্কার হবে। যারা ইচ্ছে থাকলেও ছিটমহলে যেতে পারেননি, শুধুমাত্র সংবাদ মাধ্যমেই অধুনালুপ্ত ছিটমহল হস্তান্তরের খবর পড়েছেন, তারা চোখের সামনে দেখতে পাবেন ছিটমহলের একটি টুকরো চিত্র।
ইতোমধ্যেই কলকাতার এই মণ্ডপটির পরিকল্পনা নিয়ে যথেষ্ট উৎসাহের সৃষ্টি হয়েছে। যদিও এর চেয়ে বেশি কিছু এখনই প্রকাশ করতে চাইছেন না উদ্যোক্তারা। কিন্তু মনে করা হচ্ছে, কলকাতার বুকে ছিটমহল দেখতে শারদ উৎসবের সময় প্রচুর মানুষের ঢল নামবে এ মণ্ডপে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৫
ভিএস/এএসআর