কলকাতা: এইতো পাঁচ-সাত বছর আগেও পূজা এলেই চিন্তা বেড়ে যেত কলকাতার গৃহস্থদের। কারণ এলাকার পূজা কমিটির কর্তা থেকে শুরু করে ছেলেরা এসে চাঁদা চেয়ে যেত কয়েক দফা।
কিন্তু এখন কলকাতার পূজামণ্ডপে ঢুকলে যে কেউ বুঝতে পারবেন সময়ের সঙ্গে বদলে গেছে পরিস্থিতিও। কারণ চারদিকে এখন বিজ্ঞাপনের ছড়াছড়ি। বিজ্ঞাপন ছাড়া কলকাতার পূজা যেন এখন কল্পনাই করা যায় না। পূজা আয়োজনের বড় অংশই এখন বিজ্ঞাপন নির্ভর। তাই অন্তত বড় পূজাগুলির ক্ষেত্রে গৃহকর্তাদের সঙ্গে আর দরাদরি করে না পূজা কমিটি।
এখন বিজ্ঞাপনদাতাদের সঙ্গে চলে পূজা কমিটির দর কষাকষি। অবশ্য পূজার বিজ্ঞাপন নিয়ে কলকাতায় রয়েছে বেশ কিছু হিসাব-নিকাশ। আর সেই হিসাবের উপর ভর করেই চলে পূজা কমিটি আর বিজ্ঞাপনদাতাদের মধ্যেকার চুক্তি।
মণ্ডপে কত মানুষের সমাগম হচ্ছে তার উপর নির্ধারিত হয় বিজ্ঞাপনের মূল্য। যে পূজামণ্ডপে যত বেশি লোক সমাগম হবে সেই মণ্ডপে তত বেশি টাকা ঢালেন বিজ্ঞাপনদাতারা।
পূজার গেট থেকে শুরু করে সব জায়গাতেই তাদের বিজ্ঞাপনের ছড়াছড়ি থাকে।
এ বিষয়ে কলকাতার এক পূজা কমিটির কর্তা জানান, শুধু মানুষের ভিড় নয়, কতবার মানুষের চোখে পড়বে সে বিষয়ের উপরও বিজ্ঞাপনের দাম নির্ধারণ করা হয়।
তিনি আরও জানান, মণ্ডপে মানুষের ভিড় বাড়ানোর জন্যেও বিজ্ঞাপনদাতা ও পূজা কমিটির একটি টিম একসঙ্গে কাজ করে।
এসময় বিজ্ঞাপনদাতারা খাতা, পেন্সিল নিয়ে বসে যান পরবর্তী বছরের পরিকল্পনার জন্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩২ ঘণ্টা, ২০ অক্টোবর , ২০১৫
ভিএস/আরএইচএস