ঢাকা, সোমবার, ১৫ পৌষ ১৪৩১, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

শান্তির পথে দার্জিলিংয়ের পাহাড়

রক্তিম দাশ. সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৪ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০১১
শান্তির পথে দার্জিলিংয়ের পাহাড়

কলকাতা: অবশেষে দীর্ঘ টালবাহানার পর পশ্চিমবঙ্গ সরকারে সঙ্গে রাজ্যভাগের দাবিদার গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার মধ্যে পাহাড় সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হল। আর সেই সঙ্গে আপাতত পাহাড়ে রাজনৈতিক ভাবে শান্তির পদক্ষেপ শুরু হল।

তবে এদিনই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়নি।

মঙ্গলবার দুপুর দেড়টা নাগাদ মহাকরণে মোর্চার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সচিব পর্যায়ের বৈঠকে পর এই সমাধান সুত্র বের হয়। দীর্ঘ প্রায় ৩ ঘন্টা ধরে এই বৈঠক চলে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সরকারে পক্ষে মুখ্যসচিব সমর ঘোষ, স্বরাষ্ট্র সচিব জ্ঞানদত্ত গৌতম ও দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক।

উপস্থিত ছিলেন মোর্চার শীর্ষ নেতা রোশন গিরি সহ ৭ প্রতিনিধি।

বৈঠক শেষে মহাকরণে উপস্থিত সাংবাদিকদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেন, ‘দার্জিলিং সমস্যার সমাধান হয়েছে। সরকারি স্তরে চুক্তি পাকা হয়ে গেছে। ’

এই চুক্তিকে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত মনে করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘দ্রুতই চূড়ান্ত ত্রিপাক্ষিক বৈঠক পাহাড়ে হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরমের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা চাই রাজ্য সরকার, কেন্দ্র সরকার এবং দার্জিলিংবাসীর সামনে এই চুক্তি সাক্ষর হোক। ’

মমতা আরও বলেন, ‘চুক্তির বিষয়টি বিস্তারিত ভাবে জানাবেন মুখ্যসচিব সমর ঘোষ। ’
 
মোর্চা নেতা রোশন গিরি বলেন, ‘পাহাড় সমস্যার সমাধান হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের দাবিকে মর্যাদা দিয়েছেন। সরকার ও মোর্চার এনিয়ে চুক্তি হয়েছে। আমরা খুশি। ’

জানা গেছে, পাহাড়ের সীমানা নির্ধারণের জন্য রাজ্য সরকার ও জনমুক্তি মোর্চার প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

রাজ্যভাগের দাবি থেকে মোর্চার সরে আসাকে রাজনৈতিকমহল মনে করছে, এছাড়া আর কোন পথ ছিলনা তাদের কাছে। পাহাড়ে মোর্চার সমর্থনের ভিত অনেকটাই এখন নড়বড়ে। তাই মনে গোর্খাল্যান্ড থাকলেও কার্য্যত মমতা ব্যানার্জির দৃড়তার কাছে তাদের নতিস্বীকার করতে হল।

ভারতীয় সময়: ০১৪১ ঘন্টা, জুন ৮, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।