শাহ অালী ফেরী, পাটুরিয়া থেকে: ফেরির ৩ তলার বড় অংশ জুড়েই খাবারের দোকান। পদ্মা পার হওয়ার সময় আপনার পেট পুজোতে সাহায্য করবে এই ভাত-মাছের হোটেল।
ইলিশের তেল দিয়ে ইলিশ খেয়েছেন কখনো? সঙ্গে ভাজা পেয়াজ আর একটা পোড়া মরিচ। সেই স্বাদ যেমন মুখে লেগে থাকে অনেক সময়, বেশ কয়েকবার হাত ধুঁয়েও ইলিশের ঘ্রাণ তাড়ানো যায় না।
বেশ কয়েকটা চেয়ার আর টেবিল নিয়ে এই ভাতের হোটেল। সেখানে যেতেই আবু বক্কর ডাক দিলেন। ভাত-ইলিশ-ডালের প্যাকেজ ১২০ টাকা। এছাড়াও রয়েছে চিংড়ি মাছ, বাছা মাছ, ফার্মের মুরগি। ডাল সহ প্রতিটির প্যাকেজই ১২০ টাকা। তবে দেশি মুরগির প্যাকেজ ১৫০ টাকা।
বক্কর জানালেন সকাল, দুপুর আর সন্ধ্যার যাত্রায় যত খাবারের ভিড় থাকে, তার তুলনায় মাঝ রাতে কম থাকে। তবে সবসময়ই তিন থেকে ৪ পদের মাছ থাকে।
বক্করের বাড়ি পাটুরিয়া ঘাটেই। ৫ মাস হলো এ ফেরিতে। আগে ভোলা লাইনে ছিলেন।
জানালেন, শাহ আলী ফেরির বাটলার ভোলার গফুর। ফেরির ঠিকাদারকে বলা হয় বাটলার।
আগের তুলনায় ফেরিতে তিন তাসের জুয়া কমে গেছে বলে জানালেন বক্কর। এই তিন তাসের খেলায় কত মানুষকেই না ফেরিতে ফতুর করে দিয়েছে।
এই তিন তলাতেই রয়েছে চা অার স্টেশনারি দোকান। চায়ের দোকানটায় রয়েছে খোলা কেক আর বিস্কুট। স্টেশনারি দোকানে যা কিছু রয়েছে, ঘাটের চেয়ে দাম কিছুটা বেশি বেশি।
নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে রাতে পদ্মার হাওয়া বেশ কনকনে ঠান্ডা। তাই ৪ তলায় খোলা বারান্দায় রোমান্টিক মনের সংখ্যাগুলো খুব দ্রুত কমে নিচে নেমে এসেছে।
ফেরির গ্রাউন্ড ফ্লোর, মানে যেখানে এসে বাস থামলো, সেখানে কিন্তু কানে আসবে সবার আগে, 'অ্যাই ডিম ডিম' আর 'অ্যাই ভাজা মুড়ি চানাচুর'।
আরো রয়েছে আপেল আর কমলার ফেরিওয়ালারা। আমাদের মানুষেরা বাড়ি ফেরার সময় কেন জানি এই ফল দুটোর প্রতি বেশ দুর্বল।
রাত ২টা ১০ মিনিট ফেরি এসে ভিড়ল দৌলদিয়া ঘাটে।
বাংলাদেশ সময় ০৬৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৫
এমএন/এসই/বিএস