কলকাতা থেকে: গালিব স্ট্রিটের মানি চেঞ্জারগুলোর পাশ দিয়েই সরু লেন। সেখানে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে নেচে যাচ্ছে বাদক দল।
টেবিলের সামনে মুহূর্তেই জমছে জটলা। সবার হাতে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে কাগজের ওপর ফয়েল দেওয়া বাসন। সে পাতে একে একে দেওয়া হচ্ছে গরম পুরি, সবজি আর মশলা খিচুড়ি। এই কালি পূজায় এটাই এখানকার হ্যাপি ক্লাবের পক্ষ থেকে ভরপুর খাওয়ার অায়োজন। পুরি, খিচুড়ি আর সবজি মাখিয়েই খাচ্ছেন অনেকে।
হ্যাপি ক্লাবের একটি প্যান্ডেলে কালির মূর্তি। সেখানে অনেক ভক্তের আনাগোনা। এর সামনে অারেকটি প্যান্ডেলে শিবের মূর্তি। তার সামনে ভক্তিতে বসে রয়েছে একটি ষাঁড়।
এর সামনেই খাবারের অায়োজন।
কে নেই এই খাবার গ্রহণের দলে! বুড়ো, ছোড়া থেকে শুরু করে শার্ট-প্যান্ট পড়া ভদ্রলোক আর ঘামে ভেজা চুন লাগা শরীরের মজুরেরাও রয়েছেন এই দলে। সবাই এখানে একই কাতারে, ভোগের জন্য লাইনে সবাই।
কালি পূজোর এই খাবারে ঝাল থাকে না, মাংসতো নয়ই। ফ্রি খাবার, দাঁড়িয়ে গেলাম অামরাও হাতে বাসন নিয়ে।
কালি পূজার কয়েকদিন এ ধরনের খাবার দাবার চলে। এক এক প্যান্ডেলে এক এক দিন খাওয়ানো হয়।
আর কলকাতার পাড়া ভিত্তিক ক্লাব বা সোসাইটি রয়েছে। সেগুলোতে যে রাজনৈতিক প্রভাব কিছুটা হলেও থাকে, মমতা ব্যানার্জির ছবি ফেস্টুন দেখেই বোঝা যায়।
যাকে বলে সত্যিকারের ভোগ। বেশ কয়েকজনকে দেখলাম চারটি পুরি আর ভরপুর খিচুঁড়ি খেয়ে অাবার লাইনে দাঁড়িয়েছে। অাবার ভুড়ি ভোজ।
কলকাতা শহরের বড় রাস্তা, ছোট রাস্তা, সরু গলি সবখানেই এখন দীপাবলির ঝলমলে অায়োজন।
সহকর্মী ভাস্কর সরদার বললেন, চল অন্য কোনো প্যান্ডেলে যেয়ে অাবার মা-কা ভোগ হয়ে যাক। নিউমার্কেটের সামনে নাকি বেশ খিচুড়ি রান্না হয়। খাওয়া চলে পুরোদমে।
বাংলাদেশ সময় ০৩১০ ঘন্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৫
এমএন/এসআই
** রামহরি মিস্ত্রী লেনের কথা
** রাস্তায় দাঁড়িয়ে স্যান্ডউইচ আর ভেলপুরি
**নিউমার্কেটে হ্যাপি দিওয়ালি
** পুরুষ প্রবেশ নিষেধ
**ভাত-ইলিশের প্যাকেজ ১২০ টাকা