ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

কথা রাখেননি প্রভু

সুদীপ চন্দ্র নাথ, আগরতলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৬
কথা রাখেননি প্রভু ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

আগরতলা: সম্প্রতি আসমের বদরপুর থেকে করিমগঞ্জ হয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা পর্যন্ত রেল লাইনকে ব্রডগেজে রূপান্তরিত করা হয়েছে।

 

পণ্যবাহী ট্রেনের পাশাপাশি পরীক্ষামূলকভাবে চলছে যাত্রীবাহী ট্রেনও।

কিন্তু মন্ত্রীর ঘোষণার পরও চলছে না যাত্রীবাহী ব্রডগেজ ট্রেন।

এ নিয়ে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে রাজ্যের লোকজনের মধ্যে।

তারা বলছেন, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ত্রিপুরা সফরে গিয়ে ভারতের রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু ঘোষণা দিয়েছিলেন- পহেলা বৈশাখ থেকেই আগরতলা-বদরপুর লাইনে যাত্রীবাহী ব্রডগেজ ট্রেন চলাচল করবে।

কিন্তু পহেলা বৈশাখে সেই ট্রেনের কোনো খবর নেই। মন্ত্রীও বিদেশ সফরে রয়েছেন বলে শুনেছি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পূর্ব নির্ধারিত ৩১ মার্চের আগেই মিটার গেজ থেকে ব্রড গেজে রূপান্তরিত করা হয় আগরতলা-বদরপুর রুটকে।

এরই মধ্যে রাজ্যের সংশ্লিষ্টরা রেল লাইনের সার্বিক অবকাঠামোগত নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে বদরপুর আগরতলা রেলপথকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলার উপযোগী বলে ঘোষণাও  দিয়েছে।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি আসামের শিলচর রেলওয়ে স্টেশন থেকে দিল্লির মধ্যে সম্পর্কক্রান্তী সুপারফাস্ট ট্রেনের উদ্বোধন করেন ভারতের রেলওয়ে দপ্তরের মন্ত্রী সুরেশ প্রভু।

ওই সময় তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, ১৪২৩ বাংলা সনের পহেলা বৈশাখ থেকে আগরতলা-বদরপুর লাইনে যাত্রীবাহী ব্রডগেজ ট্রেন চলবে।

কিন্তু শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) আগরতলা রেলও স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, এ ধরনের ট্রেনের কোনো ব্যবস্থাই করা হয়নি।

কর্মকর্তারা জানান, পহেলা বৈশাখে আগরতলা-বদরপুর রুটে যাত্রীবাহী ব্রডগেজ ট্রেন চলেনি। কবে চলবে এরও কোনো খবর নেই।

এদিকে ভারতীয় রেল দফতর সূত্র জনায়, এই মুহূর্তে বিদেশ সফর করছেন রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু। ১৮ এপ্রিল নাগাদ দেশে ফিরতে পারেন তিনি।

‘দেশে ফেরার আগ পর্যন্ত এই রুটে নতুন যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের কোনো সম্ভাবনা নেই,’ বলেন এক সরকারি কর্মকর্তা।

রাজ্যের এ অঞ্চলের লোকজনের অভিযোগ, ত্রিপুরার এই এলাকার প্রতি যে সরকার উদাসীন, মন্ত্রীর এই কথাতেই প্রমাণিত হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৬
জিসিপি/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।