ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

'টেডি ডে'-তে জেনে নিন টেডি বিয়ারের কাহিনী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৭
'টেডি ডে'-তে জেনে নিন টেডি বিয়ারের কাহিনী ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহের ‘টেডি ডে’

কলকাতা: টেডি বিয়ার কে না ভালবাসেন? ছোট খাটো চেহারার এই আদুরে ভাল্লুকটি যে কতো প্রেমের জন্ম দিয়েছে সে কথা হিসেব করা অসম্ভব। প্রেম নিবেদন থেকে শুরু করে মান-অভিমান ভাঙাতে টেডি বিয়ারের জুরি মেলা ভার। শিশুদেরও একান্ত পছন্দ টেডি বিয়ার।

ভ্যালেন্টাইন ডে-এর আগে যে ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহ পালন করা হচ্ছে গোটা বিশ্ব জুড়ে সেই সপ্তাহের মধ্যে ১০ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে ‘টেডি ডে’ হিসেবে।
 
তবে টেডি বিয়ার শুধু একটি পুতুল নয় এর সঙ্গে জুড়ে আছে একটি আবেগ ঘন ইতিহাস।

আর এই ইতিহাসের সঙ্গেই জড়িয়ে আছে এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের নাম। এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হলেন আমেরিকার ২৬তম প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্ট। যিনি ‘টেডি’ নামে বেশি জনপ্রিয় ছিলেন।
 
ঘটনার সূত্রপাত হয় ১৯০২ সালের নভেম্বর মাসে, যখন মিসিসিপি-এর গভর্নর এর ডাকে মিসিসিপি-এর জঙ্গলে ভাল্লুক শিকার করতে যান থিওডোর রুজভেল্ট। সারাদিন কেটে গেলেও প্রেসিডেন্ট একটিও ভল্লুক শিকার করে উঠতে পারেন না। অন্য শিকারিরা সকলেই অন্তত একটি করে ভ‍াল্লুক শিকার করে ফেলেছে।
 
এই অবস্থায় দিনের প্রায় অন্তিম লগ্নে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে থাকা সরকারি কর্মকর্তারা একটি বাচ্চা কালো আমেরিকান ভাল্লুককে ধরে নিয়ে আসে এবং প্রেসিডেন্টকে বলে সেটিকে হত্যা করতে। প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্ট ভাল্লুকটিকে গুলি করতে অস্বীকার করেন । সেই সময়ে শিকার নিয়ে গোটা বিশ্বে এতো কড়া আইন ছিল না। সামাজিক ভাবেও শিকার ছিল এক বীরত্ব প্রদর্শনের খেলা। কিন্তু প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্টের এই মানবিক দৃষ্টিভঙ্গী গোটা সমাজকে নাড়া দেয়। পরের দিন সেই সময়ের সংবাদ মাধ্যমগুলোতে উঠে আসে এই মানবিকতার কাহিনী। প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্টের এই কাহিনী কার্টুন হিসেবে গোটা আমেরিকায় ছড়িয়ে পরে।
 
সেই কার্টুন দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে আমেরিকার খেলনা কোম্পানি ‘আইডিয়াল নভেলটি অ্যান্ড টয় কোম্পানি’-এর মালিক মরিস মিকটম এবং তার স্ত্রী  প্রথম তৈরি করেন টেডি বিয়ার। তার পরের  ঘটনা ইতিহাস। গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে টেডি বিয়ার। আদুরে এই পুতুলটি শুধু উপহার হিসেবে ব্যবহার হয়। গোটা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ‘টেডি বিয়ার, মিউজিয়াম পর্যন্ত তৈরি হয়েছে। টেডি বিয়ার নিয়ে তৈরি হয়েছে অনেক বই এবং চলচ্চিত্র।

চেহারায় প্রাথমিক সময়ের থেকে অনেক বদল হয়েছে টেডি বিয়ারের, বদল হয়েছে আকারে এবং রঙে। তবুও একশ বছরের অধিক সময় ধরে মানুষের মনে নিজের জায়গা ধরে রেখেছে টেডি বিয়ার। একদিকে শিশুদের প্রিয় হিসেবে অন্য দিকে ভালবাসার মানুষকে উপহার দেওয়ার সামগ্রী হিসেবে ক্রমান্বয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই পুতুলটি।
 
ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহের ‘টেডি ডে’-তে আপনার মনের মানুষটিকে টেডি বিয়ার উপহার দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ইতিহাসটিও জানিয়ে দেবেন। এতে আপনার প্রতি তার মুগ্ধতা অবশ্যই বাড়বে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৭
এস এস/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।