ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

কোবিন্দের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন মমতা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৭
কোবিন্দের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন মমতা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়/ফাইল ফটো

কলকাতা: ভারতে ১৪তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেবেন বিজেপির দলিত নেতা রামনাথ কোবিন্দ। মঙ্গলবার (২৫ জুন) অনুষ্ঠেয় নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দিল্লি যাচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সোমবার (২৪ জুন) বিকেল ৫টায় দিল্লির উদ্দেশে কলকাতা ছাড়বেন মুখ্যমন্ত্রী।  

পাঁচ বছর রাষ্ট্রপতি থাকার পর আগামী সোমবার অবসর নিচ্ছেন ভারতের প্রথম বাঙালি রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়।

এ উপলক্ষে তার সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে শনিবার (২২ জুলাই) থেকেই।

শনিবার রাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পক্ষ থেকে একটি বিদায়ী নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি রোববার (২৩ জুলাই) ভারতের সংসদ সদস্যরা দিল্লির সেন্ট্রাল হলে একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিদায়ী রাষ্ট্রপতিকে শুভেচ্ছা জানাবেন।

এদিন প্রধানমন্ত্রী নয়াদিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউসে বিদায়ী রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়কে ভারতীয় সংস্কৃতি বা রীতি মোতাবেক একটি স্মারক উপহার দেন। প্রধানমন্ত্রীর পর শুভেচ্ছা জানান, রামনাথ কোবিন্দ, উপ-রাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি। রাষ্ট্রপতি ভবনের সঙ্গে সুসম্পর্ক ও সব সময় সহযোগিতা বজায় রাখার জন্য নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানাতেও ভোলেননি প্রণববাবু।

বিদায়ী ভাষণে সেসব ঘটনা উল্লেখ করেন তিনি। শেষবেলায় ভিজিটর বুকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দু’লাইন লিখেও দেন তিনি।

জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যায়ও বিদায়ী রাষ্ট্রপতির জন্য আরও একটি অনুষ্ঠান হবে। সেই অনুষ্ঠানেও যোগ দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরের দিন, অর্থাৎ ২৫ জুন রাষ্ট্রপতি ভবনের দরবার হলে দেশের ১৪তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেবেন রামনাথ কোবিন্দ। তাকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। সেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে দেশের সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের হাজির থাকার কথা রয়েছে।

স্বাভাবিকভাবে সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখা হবে। তবে পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে আলাদা করে বৈঠকের এখনও পর্যন্ত কোনো সম্ভাবনা নেই।

মঙ্গলবার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর বুধবার (২৬ জুন) তিনি দেখা করতে পারেন সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে। কারল এরপর উপ-রাষ্ট্রপতি পদের ভোট। সেই সুবাদে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে আলোচনা হবে উপ-রাষ্ট্রপতির ভোট নিয়ে। বিরোধী জোটের উপ-রাষ্ট্রপতি হিসেবে গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর নাম প্রস্তাব করেছিলেন স্বয়ং মমতা। গোপালকৃষ্ণ গান্ধী যখন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল ছিলেন, তখন থেকেই তার সঙ্গে মমতার সম্পর্ক খুব ভালো।

জানা যায়, এ কারণে ১৮টি বিরোধীদলকে এক জায়গায় নিয়ে গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর পক্ষে ভোট করানোর জন্য উদ্যোগী হয়েছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়।  

রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে মুখ্যমন্ত্রীর জন্য আমন্ত্রণপত্র এসে পৌঁছেছে। আমন্ত্রণপত্র আসার পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার দিল্লি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৭
ভিএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।