স্বাস্থ্য দপ্তর জানায়, অজানা জ্বরের কারণ খুঁজতে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ছাড়াও এনসেফেলাইটিস পরীক্ষা করা হয়। পরে বহু রক্তের নমুনা রিপোর্টে স্ক্রাব টাইফাস-এর জীবাণুর সন্ধান পাওয়া যায়।
ডেঙ্গুর কোনো প্রতিষেধক না থাকায় ডাক্তার উপসর্গ দেখে রোগীর চিকিৎসা করেন। তবে স্ক্রাব টাইফাসের তেমনটি নয়। সুনির্দিষ্ট অ্যান্টিবায়োটিকে এই রোগ সেরে যায়। তবে ডেঙ্গুর মতো এক্ষেত্রেও জ্বর, মাথাব্যথার মতো উপসর্গ থাকে। বেশি হলে নিউমোনিয়া, মায়োকার্ডাটিস, এনসেফেলাইটিস হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এই রোগের চিকিৎসা সময়ে না হলে মৃত্যুও হতে পারে। তবে ঠিক সময়ে চিকিৎসা হলে মৃত্যুর হার দুই শতাংশ।
অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে থাকলে সাধারণত এই রোগ হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মায়ানমারের সেনাদের মধ্যে প্রথম এই রোগের সন্ধান পাওয়া যায়। তারপর আমেরিকান সেনাদের কয়েকজন এই রোগে মারা যায়। ১৯৪৪ সালের আগে রোগটির অ্যান্টিবায়োটিক বা ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৭
ভিএস/এনটি