বুধবার (০৫ আগস্ট) কলকাতায় এক পাঁচতারকা হোটেলে আয়োজিত ‘সাইবারকন ২০১৮ অ্যান্ড টেকনোলজি এক্সসিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের প্রতিনিধিরা।
পলক বলেন, এই অনুষ্ঠানে বহু মানুষের জমায়েত বর্তমান সময়ে সাইবার সুরক্ষার বিষয়টির গুরুত্ব প্রমাণ করছে। কোনো একটি দেশের পক্ষে এককভাবে তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয়। এই কারণে আমাদের এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।
‘বাংলাদেশে বিগত কয়েক বছরে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে উন্নতি অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ফলে তথ্যপ্রযুক্তির এই বিকাশ দেশের সাইবার নিরাপত্তার বিষয়টিকে আরো জোরদার করেছে। ’
সাইবার অপরাধ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৬ সালের একটি সাইবার হামলার ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৮১ মিলিয়ন ডলার তছরূপ হয়ে যায়। এরই মধ্যে বাংলাদেশ সরকার সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অনেকটাই অগ্রসর হয়েছে। গড়ে তোলা হয়েছে ‘ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সি’। তবে প্রতিবেশী দেশগুলো মধ্যে আঞ্চলিক সম্পর্ক গড়ে তোলাও জরুরি।
ফেক নিউজ নিয়ে তিনি বলেন, ফেক নিউজ আজ একটা বড় সমস্যা। ইন্টারনেট যত সহজ লভ্য হচ্ছে স্যোশাল সাইটগুলোয় মানুষ তত বেশি প্রবেশ করছে। এটা বাস্তব। কখনো ধর্মের নামে, কখনো দেশের নামে বা কখনো রাজনীতির নামে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপে মিথ্যা নিউজ ছড়িয়ে পড়ে। ফলে ঘটছে হিংসাত্মক ঘটনা। তবে জনগণকে বুঝতে হবে কোনটা নিউজ আর কোনটা ফেক নিউজ।
জনগণের উদ্দেশ্যে পলক বলেন, দয়া করে ধৈর্য্য নিয়ে খোঁজ-খবর নিন। তারপর সিদ্ধান্ত নিন। স্যোশাল সাইটে প্রকাশ হওয়া মানেই নিউজ নয়। বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে শিক্ষামূলক ও সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোদ নিয়েছে।
অনুষ্ঠানে কলকাতার উপ হাইকমিশনের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৮
ভিএস/ এমএ