তাহলে কি সরকারের হাতে কোনো প্রমাণ রয়েছে, তা নিয়ে খোদ প্রশ্ন তুলেছেন নেতাজির নাতি তথা বিজেপি নেতা চন্দ্র বসু। পিআইবি জানাচ্ছে, নেতাজির মৃত্যু হয়েছে ১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্ট।
তাহলে সরকার কি মৃত্যুর দিনটিকে মেনে নিচ্ছে, প্রশ্ন ভারতীয়দের। পাশাপাশি প্রশ্ন উঠেছে ১৮ অাগস্ট তাইহুকু বিমান দুর্ঘটনাতেই মৃত্যু হয়েছে নেতাজির। এমন কোনো প্রমাণ কি ভারত সরকারের হাতে রয়েছে? কীভাবে দেশের মানুষের কাছে কোনো প্রমাণ না দিয়েই এই দিনটিকে নেতাজির মৃত্যুদিন হিসেবে মেনে নিচ্ছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
নেতাজি পরিবারের সদস্য থেকে নেতাজির দল ফরওয়ার্ড ব্লক, সবারই মতে রহস্যের এখনও সমাধান হয়নি। সরকারও প্রচেষ্টা চালিয়েছে। এনিয়ে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। তাতেও কেউই এখনও সঠিক তথ্য দিতে পারেননি বলে জানিয়েছে নেতাজির পরিবার। তাহলে কি করে দেশের সরকারের হাতে প্রমাণ রয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তারা।
তবে রোববার(১৮ আগষ্ট) শুধু প্রেস ইনফর্মেশন ব্যুরোই নয়, বিজেপির তরফ থেকেও ১৮ অাগস্টের দিনটিকে নেতাজির ‘মৃত্যুদিন’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তারা লিখেছে, স্বাধীনতা দেখার জন্য নেতাজি জীবিত ছিলেন না। পাশাপাশি কংগ্রেসও টুইটেও উল্লেখ করেছে নেতাজির মৃত্যুদিন ১৮ অাগস্ট। সাথে লিখেছে, দিনটিকে দেশের অন্যতম বড় স্বাধীনতা সংগ্রামীর মৃত্যু দিবস হিসেবে স্মরণ করছে কংগ্রেস।
তবে নেতাজির মৃত্যুদিন যেহেতু সরকারীভাবে কোনো কালেই ঘোষণা করা হয়নি, তাই এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে ভারতজুড়ে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৯
ভিএস/এমএইচএম