ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

করোনার দাপটের মধ্যেই ভ্যাকসিন আসছে ভারতে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০২০
করোনার দাপটের মধ্যেই ভ্যাকসিন আসছে ভারতে ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

কলকাতা: কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ভারতে ভ্যাকসিন আসছে বলে এক ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।  

দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) এক সর্বদলীয় বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

সেখানেই ভ্যাকসিন নিয়ে সরকারীভাবে ঘোষণা করেছেন তিনি।  

তবে কয়েক সপ্তাহ মানে কবে? সে বিষয়ে নির্দিষ্ট তারিখ পাওয়া যায়নি। তবে তা ঠিক করবেন করোনা বিশেষজ্ঞদের টিম বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভ্যাকসিনের দাম কেমন হবে, তা ঠিক হবে প্রতিটা রাজ্যের সঙ্গে কথাবার্তার মাধ্যমেই।

এর পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে করোনাকে কেন্দ্র করে যে আশঙ্কার কালো মেঘ ঘনিয়ে এসেছিল, এবার সেই আশঙ্কা কেটে গিয়েছে। স্বস্তি আসছে ভারতে। ভারতের বিভিন্ন শহরে মোট আটটি সংস্থার উৎপাদন ইউনিটে তৈরি হচ্ছে ভ্যাকসিন। গবেষক ও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে টিকা প্রস্তুত হয়ে যাবে। তাদের ছাড়পত্র পেলেই ভ্যাকসিন সাধারণ মানুষের উপর প্রয়োগের জন্য চলে আসবে। ’

এদিকে, গত কয়েক সপ্তাহের তুলনায় এখন দেশটিতে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল। তবে এখনও দৈনিক করোনা শনাক্তের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে কেরালা রাজ্য। এরপরই ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলো হলে মহারাষ্ট্র, দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ এবং রাজস্থান। ফলে পশ্চিমবঙ্গে করোনা ভাইরাসের দাপট একইভাবে বহাল রয়েছে।

চলমান পরিস্থিতিতে দৈনিক গড়ে তিন হাজারের বেশী শনাক্ত হচ্ছে রাজ্যে। গত একদিনে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ২০৬ জন। এ নিয়ে শনিবার (০৫ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত রাজ্যে করোনা শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ লাখ ৯৬ হাজার ৫২২ জন।

রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী, গত একদিনে রাজ্যে করোনা মুক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ২১৫ জন। সবমিলিয়ে মোট করোনাজয়ীর সংখ্যা ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৮৪৯ জন। ফলে বাংলায় সুস্থতার হার দাঁড়িয়েছে ৯৩ দশমিক ৪২ শতাংশে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে আরও ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে রাজ্যে করোনায় মৃত বেড়ে হয়েছে ৮ হাজার ৬২৮ জন।

অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। এরপরই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪পরগনা ও হাওড়া।

স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে বলা হয়েছে, শুক্রবার পর্যন্ত ৪৪ হাজার ৩৫১টি করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট ৬০ লাখ ৪৭ হাজার ২৭৯টি পরীক্ষা করা হয়েছে।

রাজ্যে মোট করোনা হাসপাতাল বেড়ে হয়েছে ১০২টি। এরমধ্যে সরকারি হাসপাতালের সংখ্যা ৪৫ ও বেসরকারি হাসপাতালের সংখ্যা ৫৭।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০২০
ভিএস/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।