কলকাতা: নিয়মমাফিক মাস্ক ব্যবহার করলে যুক্তরাষ্ট্রে বাঁচানো যেত কমপক্ষে ৪৯ হাজার মানুষ। এমনকী মাস্ক আবশ্যিক করেই কানাডায় সাপ্তাহিক সংক্রমণ কমপক্ষে ২৫ শতাংশ কমানো সম্ভব হয়েছে।
এর সাথে হঠাৎ করে ভারতের পাঁচ রাজ্যে করোনা মাথাচাড়া দিতেই ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ’ অর্থাৎ আইসিএমআরের গবেষণায় বলা হচ্ছে, মাস্ক অনেকটাই করোনা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে। তাই ভারতে জাতীয়স্তরে মাস্ক বাধ্যতামূলক করার ভাবনাচিন্তা করছে কেন্দ্রীয় সরকার।
বিশেষত বাস, ট্রাম, ট্রেনের মতো পরিবহনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা অসম্ভব। সেখানেই মাস্কের আবিশ্যকতা অনেকটাই। সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে পারে সাধারণ কাপড়ের মাস্কই। তবে দরকার তার সঠিক ব্যবহার। আইসিএমআরের গবেষণায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে।
একইসঙ্গে সংস্থার পরামর্শ, আপাতত প্রতিটি ভারতীয়কে মাস্ক পরে থাকতেই হবে প্রকাশ্যে এবং জনসমাবেশে। আর সেই তথ্য সামনে রেখে করোনার সংক্রমণ এড়াতে জাতীয়স্তরে মাস্ক বাধ্যতামূলক করার ভাবনাচিন্তা করছে কেন্দ্রীয় সরকার।
মূলত, আগের চেয়ে করোনা টেস্টের সংখ্যা বেড়েছে। কমছে মৃত্যুর সংখ্যাও। বেড়েছে সুস্থতার হার। চলছে টিকাদানও। তাও চিন্তামুক্ত হতে পারছে না ভারত সরকার। ইতোমধ্যে মহারাষ্ট্র, কেরালা, পাঞ্জাব, তামিলনাড়ু, কর্ণাটকের মতো পাঁচ রাজ্যে আচমকা সংক্রমণ বাড়ায় কেন্দ্রের কপালে চিন্তার ভাঁজ। সঙ্গে দোসর হয়েছে দ্রুত সংক্রমণে সক্ষম ‘সার্স কোভ টু’র নতুন স্ট্রেইন।
সরকারের চিন্তিত হওয়ার আরও কারণ, সামনেই পশ্চিমবঙ্গসহ চার রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত পুদুচেরিতে ভোট। চলছে কুম্ভমেলা, সঙ্গে রয়েছে হজ ট্রানজিট। তারই মধ্যে আইসিএমআরের গবেষণায় বলা হয়েছে, ভারতের ৫৫ শতাংশ নাগরিক ঠিক করে মাস্কই পরেন না।
আইসিএমআরের কলকাতা শাখার মহামারি বিভাগের প্রধান ডা. সমীরণ পাণ্ডা বলেন, সেরোলজিক্যাল সার্ভেই সতর্ক করে দিয়েছে যে, এখনও ভারতে ৭৯ শতাংশ নাগরিকের সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে। তবে এই ঝুঁকি কমাতে নাগরিকদের জন্য কাপড়ের মাস্কই যথেষ্ট। যা নাক ও মুখ ঢেকে পরতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২১
ভিএস/এইচএডি