আগরতলা (ত্রিপুরা): রাজধানী আগরতলার পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া গ্রাম ভাগলপুর। এই গ্রামটি সবজি চাষের জন্য বিখ্যাত।
এবছর তিনি এক বিঘার কিছু বেশি পরিমাণ জমিতে শিম লাগিয়ে ছিলেন। কার্তিক মাস থেকে শিম সংগ্রহ করেন এবং এই শিমের ঝাড় থেকে শিম সংগ্রহ চলবে চৈত্র মাস পর্যন্ত। এরপর বৃষ্টি শুরু হলে জমিতে বর্ষাকালীন সবজি চাষ করবেন। এই শিমের ক্ষেত করতে তার প্রায় ২৬-২৭ হাজার রুপি খরচ হয়েছে। মৌসুমের প্রথম দিকে প্রতি কেজি শিম ৩৭০ রুপি করে পাইকারি দামে বিক্রি করেছেন। এরপর ধীরে ধীরে দাম কমতে থাকে দাম। সব শেষে প্রতি কেজি ২০ রুপি দরে পর্যন্ত বিক্রি করেন। এর চেয়ে দাম কমে গেলে শিমের বীজ করে বিক্রি করেন।
সুদীপ জানান, পাঁচ গন্ডার প্লট থেকে সপ্তাহে ১২০-১৩০ কেজি পর্যন্ত শিম পাওয়া যায়। এই প্লট থেকে সব মিলিয়ে এই সিজনে এক হাজার থেকে দেড় হাজার কেজি শিম পাওয়া যাবে। সব মিলিয়ে পাঁচ গন্ডা জায়গা থেকে শিম বিক্রি করে সব খরচ বাদ দিয়ে মৌসুম শেষে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার রুপি লাভ হবে। সেই হিসেবে এক বিঘা (২০ গন্ডা) জমিতে এবছর শিম থেকে এক লাখ ২০ হাজার রুপি মত লাভ হবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। এখনো শিমের ক্ষেতে প্রচুর পরিমাণ শিম ও ফুল রয়েছে। শিমের ফলন শেষে এই জমিতে বর্ষাকালীন মরিচ চাষ করবেন বলেও জানান সুদীপ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২১
এসসিএন/কেএআর