আগরতলা: কোন কিছুর যেমন খারাপ দিক আছে ঠিক তেমনি ভালো দিকও রয়েছে কিন্তু তা খুঁজে বের করতে হয়। ২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে লক ডাউন ঘোষণা করা হয়েছিলো বিশ্ব জুড়ে।
অসম রাজ্যের চিরাং জেলার বাসিন্দা সৌরভ মণ্ডল ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম কমের তৃতীয় সেমিস্টারের ছাত্র। সৌরভ জানান লকডাউনের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনি বাড়ি চলে যান। এই সময় ঘরের ভেতরে একপ্রকার বন্দি জীবনযাপন করছিলেন। ছোটবেলা থেকে আঁকার প্রতি তার আগ্রহ রয়েছে, তাই তিনি বাড়িতে বসে ইন্টারনেটে বিভিন্ন ভিডিও দেখেন। হঠাৎ একদিন দেখতে পান একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী লোক যার দুটি হাত নেই কিন্তু তিনি মুখ দিয়ে খুব সুন্দর ছবি আঁকতে পারেন। এটা দেখে সৌরভ নিজেও অনুপ্রাণিত হন এবং বাড়িতে অনুশীলন শুরু করেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যে তিনি এই কাজে পারদর্শী হয়ে ওঠেন এবং একের পর এক ছবি আঁকতে থাকেন মুখ দিয়ে। ছবি আঁকার এই শিল্পকে মাউথ পেইন্টিং বলে।
ইতোমধ্যে সৌরভের কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ দুটি পুরস্কার জিতে নিয়েছেন। এশিয়া বুক অফ রেকর্ডস কমিটি তাকে গ্র্যান্ডমাস্টার স্বীকৃতি দিয়েছে। পাশাপাশি ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের তরফেও তাকে এক্সট্রাঅরডিনারি আর্টিস্টের সম্মান দিয়েছে।
আগামী দিনে তিনি আরও বেশি এবং বড় মাপের বিশ্ব রেকর্ড করতে চান সৌরভ। ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করার জন্য ইতোমধ্যে বিদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয় তাকে থিসিস লিখতে বলেছে। যদি তিনি থিসিস লিখতে পারেন সঠিকভাবে তবে তাকে সাম্মান সূচক ডি লিট উপাধিতে ভূষিত করবে বলেও জানান। তাই তিনি এখন থিসিস লেখার কাজ শুরু করে দিয়েছেন।
ইতোমধ্যে তিনি লিমকা বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড, গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড এবং গোল্ডেন বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে আবেদন পাঠিয়েছেন।
একেকটি মাউথ পেইন্টিং করতে সৌরভের সময় লাগে মাত্র ৮-১০ মিনিট, তবে এর জন্য আগে থেকে অনুশীলন করতে হয় বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১০ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২১
এসসিএন/কেএআর