আগরতলা (ত্রিপুরা): গত দুই বছরে অনেকটাই অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন ত্রিপুরা রাজ্যে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে আপেল চাষি মিঠুন। বাস্তব অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে তিনি এখন আরও বড় পরিসরে আপেল বাগান করতে চান।
ত্রিপুরা রাজ্যের মাটিতে প্রথম সফলভাবে আপেল চাষ করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেওয়া মিঠুন সরকারের বাগানে দ্বিতীয় বছরও ভালো ফল এসেছে। রাজ্যের পশ্চিম জেলার বামুটিয়া এলাকার মিঠুনের আপেল বাগানে মোট ১৭২টি গাছ রয়েছে। প্রতিটি গাছেই এবছরও ফুল এসেছিল কিন্তু তিনি এরমধ্যে থেকে বেছে বড় আকারের ৩৫-৪০টি গাছের ফুল রেখে বাকি গাছগুলোর ফুল ছিঁড়ে দিয়েছেন। এর কারণ ছোট গাছগুলোর বৃদ্ধি যাতে ভালো হয়। যে গাছগুলোতে আপেল ধরেছে এগুলো পরিণত হলে এবছর ৬০ থেকে ৭০ কেজি ফলন হবে বলে আশা করছেন তিনি। তবে এবছর শিলা বৃষ্টির কারণে আপেলের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। যে আপেলগুলোতে সরাসরি শিলার আঘাত লেগেছে সেগুলো ঝরে পড়েছে, তা না হলে ফলন আরও একটু বেশি হতো বলে জানান মিঠুন। এখন তার বাগানের সবুজ রঙের কাঁচা আপেল থোকা থোকা হয়ে রয়েছে। জুন-জুলাই মাস নাগাদ আপেলগুলো পেঁকে যাবে বলেও জানান তিনি।
গত দুই বছরের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি নিশ্চিত হয়েছেন যে, ত্রিপুরা রাজ্যের আবহাওয়ায় লোঅল্টিটিউট প্রজাতির আপেলের বাণিজ্যিক চাষ করা সম্ভব। তাই তিনি পরিকল্পনা করছেন আরও চার বিঘা জমিতে নতুন একটি বাগান গড়ে তুলবেন। যেখানে এক হাজার গাছ লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তবে তিনি এখনও সরকারি কোনো সহায়তা পাননি। তাই সমস্যা হচ্ছে। সরকার যদি তাকে আর্থিক সহায়তা করে তবে তিনি আরও ভালো ভাবে ত্রিপুরা রাজ্যের মাটিতে আপেলের বাণিজ্যিক চাষ করতে পারবেন।
উল্লেখ্য ভারতের হিমাচল প্রদেশ রাজ্যের হরিমোহন শর্মা নামে একজন চাষি অপেক্ষাকৃত উষ্ণ অঞ্চলে ফলানো সম্ভব এই ধরনের আপেলের প্রজাতি উদ্ভাবন করেছেন। তার নাম অনুসারে এই প্রজাতির আপেলের নাম দেওয়া হয়েছে হরিমোহন ভ্যারাইটি। পাশাপাশি প্রজাতিটির আপেলকে অল্টিটিউডট প্রজাতির আপেল বলা হয়ে থাকে। কারণ এগুলো চাষের সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে খুব বেশি উচ্চতার প্রয়োজন হয় না।
বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২১
এসসিএন/এমআরএ