আগরতলা: ত্রিপুরা রাজ্যে ৪৪ বছরের উপরের মানুষের করোনার টিকাকরণ ১০০শতাংশ হয়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে এখন পর্যন্ত রাজ্যের সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০০ শতাংশ মানুষের টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে।
শুক্রবার (২৫ জুন) আগরতলার কর্নেল চৌমুহনী এলাকায় জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের ত্রিপুরা রাজ্যের মিশনের অফিসের কনফারেন্স হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন ভারত সরকারের রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য মিশনের ত্রিপুরা রাজ্যের মিশন ডাইরেক্টর ডক্টর সিদ্ধার্থ শিব জসওয়াল।
১০০ শতাংশ টিকা হওয়া মধ্যে ৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত উত্তর জেলায় এবং একটি সিপাহীজলা জেলায়। জনজাতি অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে এখন ৮৫ শতাংশের বেশি মানুষ টিকা নিয়েছেন।
তিনি বলেন, সারা ভারতে সঙ্গে ত্রিপুরা রাজ্য ১৬ জানুয়ারি ২০২১ থেকে কোভিড টিকাকরণ শুরু হয়েছিল। সর্বপ্রথমে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের সকল স্তরের কর্মীদেরকে টিকাকরণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত ত্রিপুরা রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরে সকল স্তরের কর্মীদের টিকাকরণের প্রথম ডোজ ১০০শতাংশ হয়ে গিয়েছে এবং দ্বিতীয় ডোজ হয়েছে ৭৩ শতাংশ। সারা দেশের সঙ্গে ত্রিপুরা রাজ্যের ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার যেমন পুলিশ, নিরাপত্তাকর্মী, আধা সামরিক বাহিনী, সাফাই কর্মী তাদের ভ্যাক্সিনেশন ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে। তাদেরও টিকাকরণের প্রথম ডোজ ১০০ শতাংশ হয়ে গিয়েছে। ৪৪ বছরের বেশি বয়সী সাধারণ মানুষের টিকাকরণ ১ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত রাজ্যে মোট ৯ দশমির ৬৮ লাখ মানুষকে টিকাকরণ করা হয়েছে। ভারত সরকারের তথ্য অনুসারে গড়ে ৯৮ শতাংশ মানুষের টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে। ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের টিকাকরণ শুরু হয়েছিল ১৩মে থেকে শুরু হয় এবং এখন পর্যন্ত ৬ দশমিক ৯১ লাখ মানুষের টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে। শতকরা হিসাবে ৫০ শতাংশ টিকাকরণ হয়েছে। সারা রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ১৮ দশমিক ৩১ লাখ মানুষের টিকাকরণ হয়েছে। যা টিকা পাওয়ার যোগ্য মানুষের প্রায় ৮০ শতাংশ।
এখন পর্যন্ত ভারত সরকারের কাছ থেকে ত্রিপুরা রাজ্য করোনার টিকা পেয়েছে মোট ২৪ দশমিক ৯ লাখ। বর্তমানে ত্রিপুরা রাজ্যে ২ লাখ ১০ হাজার টিকা মজুদ রয়েছে।
তিনি আরো জানান, রাজ্যে তৃতীয় ওয়েব যাতে না আসে তার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৯ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২১
এসসিএন/কেএআর