আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরা রাজ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে মৃত ও শনাক্তের হার নিম্নমুখী। তবুও জনসাধারণের জন্য বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করছে রাজ্য সরকার।
এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সতর্ক না হলে যেকোনো সময় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনা। তাই আগে থেকেই বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করছে রাজ্য সরকার। সাধারণ মানুষকে সতর্ক করছে সাবধানে চলা ফেরা করার জন্য। সরকার সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যাতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ যেন ঘর থেকে বের না হয়।
সাধারণ মানুষদের এ বিষয়ে সতর্ক করতে কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন রাজ্যের জন নেত্রী সংসদ সদস্য (এমপি) প্রতিমা ভৌমিক।
শনিবার (৩ জুলাই) তিনি আগরতলার প্যারাডাইস চৌমুহনী এবং পরবর্তী সময় রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবন এলাকায় দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষদের মধ্যে মাস্ক বিতরণ করেন।
তিনি এদিন সাধারণ পথচারী থেকে শুরু করে বাইক, সাইকেল, গাড়িতে থাকা মানুষদের হাতে মাস্ক তুলে দেন। সেই সঙ্গে আহ্বান জানান সবাই যেন সতর্কতা অবলম্বন করে চলা ফেরা করেন।
তিনি জানান, গত বছরের মতো এবারও তিনি নিয়মিতভাবে সাধারণ মানুষদের মধ্যে মাস্ক বিতরণ করবেন।
তিনি আরো জানান, রাজ্য সরকার করোনা মোকাবিলার জন্য পুরোপুরিভাবে প্রস্তুত রয়েছে। রাজ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তাই পুরোপুরিভাবে ‘লকডাউন’ ঘোষণা করা হয়নি। করণ রাজ্যে কারফিউ জারি করা হয়েছে। তবে রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষদের চাল-ডাল নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহ করছে। পাশাপাশি আর্থিক সহায়তাও করছে। সব মিলিয়ে বর্তমান সরকার কঠিন পরিস্থিতিতেও সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বছর রাজ্যে করোনা প্রকোপ দেখা দিলে এমপি প্রতিমা ভৌমিক। পুরো রাজ্য জুড়ে সাধারণ মানুষদের মধ্যে মাস্ক এবং স্যানিটাইজার বিতরণ করেছিলেন। তিনি এত পরিমাণ মানুষের মধ্যে মাস্ক বিতরণ করেছিলেন যে তাকে রাজ্যের মানুষ এখন ‘মাস্ক দিদি’ বলেও ডাকেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০২১
এসসিএন/আরআইএস