কলকাতা: চিকিৎসক অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এই পরিস্থিতি দক্ষিণ ভারতের আদলে পশ্চিমবঙ্গে টেলিমেডিসিন হাব চালু করতে চলেছে মমতার সরকার।
আপাতত রাজ্যের কয়েকটি জেলা মিলিয়ে ২৮টি জায়গায় তৈরি হবে এই হাব। পরে গোটা রাজ্যের চালু হবে টেলিমেডিসিন হাব। এজন্য প্রথম ধাপে ৬৮ লাখ রুপি বরাদ্দ করা হয়েছে।
‘কমিউনিটি হেলথ অফিসার’(সিএইচও), এএনএমের সহযোগিতায় চালানো হবে এইসব হাব। তাদের কাজ হবে চিকিৎসকদের সঙ্গে রোগীদের অনলাইন সংযোগ করা।
প্রথমদিকে সুগার, প্রেশারের মত ক্রনিক রোগের ক্ষেত্রে পরিসেবা কাজে লাগানো হবে। পরে পরিসর আরও বাড়ানো হবে। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডক্টর অজয় চক্রবর্তী বলেছেন, টেলিমেডিসিনই ভবিষ্যতের চিকিৎসা ব্যবস্থা। তাছাড়া করোনা পরিস্থিতি কতদিন চলবে তা আন্দাজ করা খুব কঠিন। রাজ্যের হাসপাতালগুলোর অধিকাংশ অংশ করোনা রোগীদের জন্য সংরক্ষিত। নন-করোনা রোগীদের চিকিৎসা যাতে অবহেলিত না হয়, সেজন্য এই হাব।
মমতা বন্দোপাধ্যায় তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন আনতে চলেছেন। করোনা নির্মূলে অনেকটাই যেমন সক্রিয়তা দেখাচ্ছেন তেমন টিকাদানে ভারতে প্রথমসারিতে আছে পশ্চিমবঙ্গ। এছাড়া সম্প্রতি তিনি ঘোষণা করেছেন, টাটার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে রাজ্যে দু’টি ক্যানসার হাসপাতাল বানানো হবে।
গত ৩০ জুন মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, রাজ্যের ক্যানসার আক্রান্ত অনেক রোগী চিকিৎসার জন্য মুম্বাইয়ের টাটা মেমোরিয়াল সেন্টারে যান। কিন্তু সেখানেও নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হয় তাদের। কখনও কখনও চিকিৎসকদের সিডিউল পাওয়া যায় না। তার ওপর ভাষাগত সমস্যা এবং থাকা-খাওয়া নিয়েও সমস্যায় পড়তে হয় বাংলার অনেককেই। সেই নিয়ে ভাবার পর টাটা মেমোরিয়াল ও রাজ্য সরকারের যৌথ উদ্যোগে পশ্চিমবঙ্গে দু’টি ক্যানসার হাসপাতাল তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর একটি তৈরি হবে কলকাতার পিজি হাসপাতাল (এসএসকেএম) এবং দ্বিতীয়টি হবে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গে করোনা শনাক্তের সংখ্যা হাজারের নিচেই রয়েছে। শনিবার (১০ জুলাই) কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯৯০ জন। মারা গেছেন ১০ জন।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৬ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২১
ভিএস/এমইউএম/এমআরএ