কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ দৈনিক করোনা শনাক্তের সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। এখনই উপনির্বাচনের উপযুক্ত সময়।
রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী কর্তা নির্বাচনী বিষয় এদিন চিঠি পাঠিয়েছে কোচবিহার, দক্ষিণ কলকাতা, উত্তর ২৪পরগনা, দক্ষিণ ২৪পরগনা ও নদিয়ার জেলার নির্বাচনী অফিসগুলোতে। তাতে বলা হয়েছে, উপনির্বাচনের জন্য ইভিএম, ভিভিপ্যাট তৈরি রাখা হোক। ফলে নির্ধারিত ৬ মাসের মধ্যেই উপনির্বাচন হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এর আগে নির্বাচন নিয়ে রাজ্যের মতামত জানতে চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন। মমতার সরকার জানিয়েছিল, উপনির্বাচনের জন্যেও প্রস্তুত সরকার। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, বাংলায় সংক্রমণের হার ১ দশমিক ৫ শতাংশ। এমন এলাকাও আছে যেখানে কোনো করোনা কেস নেই। বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনে গিয়েছিল আমাদের প্রতিনিধি দল। আমরা চাই এ সময় নির্বাচন হয়ে যাক।
উল্লেখ্য একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ২৯৪ টি আসনের বদলে এবার নির্বাচন হয়েছিল ২৯২টি আসনে। ভোটের আগে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ও সামসেরগঞ্জে দুই বাম প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় নির্বাচন হয়নি। এছাড়া আরও ৫টি কেন্দ্র-কোচবিহার জেলার দিনহাটা, দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর, উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ, নদীয়া শান্তিপুর ও দক্ষিণ ২৪পরগনা গোসাবায় নির্বাচন বাকি। মূলত, নন্দীগ্রামে পরাজিত হওয়ায় ৬ মাসের মধ্যে জিতে আসতে হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সেকারণে রাজ্যের বর্তমান কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ওই আসন থেকে পদত্যাগ করেছেন। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় প্রার্থী হতে পারেন খড়দহে।
তবে উপনির্বাচনের বিষয় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এদিন বলেছেন, টিকাকারণ সম্পূর্ণ না হলে ভোট করা উচিত নয়। যারা পশ্চিমবঙ্গে পুরসভার নির্বাচন করতে পারে না, এমনকি চার বছর ধরে কলেজের ছাত্র সংসদের ভোট করতে পারে না, তাদের উপনির্বাচনের জন্য এত তাড়া কীসের?
বাংলাদেশ সময়: ০১৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০২১
ভিএস/ওএইচ/