আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরায় আগরবাতির জন্য বাঁশের শলা উৎপাদনের পরিমাণ আরও বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন ত্রিপুরা শিল্প উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান টিংকু রায়।
বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বাংলানিউজকে তিনি এ তথ্য জানায়।
টিংকু রায় বলেন, দেশের পুরো বাজারের মোট ৬০ শতাংশ অংশ দখল করাই আমাদের লক্ষ্য। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে এখন ২০ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে শলা উৎপাদন।
জানা গেছে, ত্রিপুরা রাজ্যের গ্রামীণ এলাকার বেশিরভাগ মানুষের জীবিকা নির্বাহের অন্যতম উপায় ছিল বাঁশ থেকে শলা তৈরি করা। এ বাঁশের শলাগুলো দক্ষিণ ভারতের আগরবাতি কারখানাসহ অন্যান্য শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হতো। গত এক বছরে এ রাজ্যে আগরবাতির জন্য বাঁশের শলা উৎপাদনে ব্যাপক সাফল্য লাভ করেছে। এখন রাজ্যে বাঁশের শলার বার্ষিক উৎপাদন ৩ হাজার কিলোগ্রামে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে শলা রপ্তানিতে ত্রিপুরা দেশের মধ্যে প্রথম সারিতে থাকার পরও ভারতের সাবেক ইউপিএ সরকার বিদেশ থেকে বিশেষ করে ভিয়েতনামসহ ওই অঞ্চলের অন্যান্য দেশ থেকে বাঁশের শলা আমদানি শুরু করে। ফলে ত্রিপুরা রাজ্যের বাঁশের শলা উৎপাদন শিল্প পুরোপুরি মুখ থুবড়ে পড়ে এবং শলা উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত মানুষ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন।
২০১৮ সালে ত্রিপুরা রাজ্যে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিদেশ থেকে দেশে বাঁশের শলা আমদানি বন্ধ করার আহ্বান রাখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে চিঠি দেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
ওই চিঠি পেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন এবং রাজ্যের ধূপকাঠির বাঁশের শলা শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য বিদেশ থেকে বাঁশের শলা আমদানির উপর শুল্ক বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে রাজ্যে আবার বাঁশের শলা উৎপাদন শিল্প আবারও চাঙ্গা হতে শুরু করে।
বর্তমান রাজ্যে মোট ১০টি ধূপকাঠি শলা উৎপাদন ইউনিট চালু হয়েছে এবং এগুলো থেকে গড়ে বছরে তিন হাজার কেজি শলা উৎপাদিত হচ্ছে। নতুন করে আরও ত্রিশটি ইউনিট খুব দ্রুত রাজ্যে উৎপাদন শুরু করবে।
এ সকল ইউনিট চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন রাজ্য সরকারের তরফে দেওয়া হয়েছে পাশাপাশি প্রত্যেকটি ইউনিটের জন্য ২৫ লাখ রুপি ভর্তুকিও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ত্রিপুরা রাজ্য শিল্প উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান টিংকু রায়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর, ২০২১
এসসিএন/এনএইচআর