কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিই ভোটে আস্থা দেখিয়েছেন ভবানীপুরাসী। প্রতিপক্ষকে রেকর্ড মার্জিনে হারিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রোববার (৩ অক্টোবর) জয়ের পর নিজেই সেই কথা জানিয়েছিলেন।
এর আগে এপ্রিলে হয়ে যওয়া বিধানসভা নির্বাচনে মাত্র দুটি ওয়ার্ডের মার্জিনে জিতেছিলেন তৃণমুল বিধায়ক শোভন চট্টোপাধ্যায়। তবে মমতা নিজে দাঁড়াতেই পাল্টে গেছে ভবনীপুরের রাজনৈতিক পরিস্থিতি।
মমতার এই বিপুল জনাদেশের ফলে মুখ্যমন্ত্রী পদে দায়িত্বভার পালনে আর কোনো বাধা থাকল না। মুখ্যমন্ত্রীর শপথ তো আগেই নেওয়া ছিল, এবার সময় নষ্ট না করে পূজার আগেই বিধায়ক পদে শপথ নিতে আগ্রহী মুখ্যমন্ত্রী। ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা করেছেন শাসক দলের নেতাদের সঙ্গে।
জানা গেছে, মহালয়ের পরদিন অর্থাৎ ৭ অক্টোবর বিধায়ক পদে শপথ নিতে পারেন মমতা বন্দোপাধ্যায়।
তবে মমতা বিধানসভার স্পিকার না রাজ্যপাল, কার কাছে শপথবাক্য পাঠ করবেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, উপনির্বাচনে জয়ী প্রার্থীদের রাজ্যপালের অনুমতিক্রমে বিধানসভার স্পিকার শপথবাক্য পাঠ করান। অর্থাৎ রাজ্যপাল অনুমতি দিলেই ভবানীপুর উপনির্বাচনে জয়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্পিকার শপথবাক্য পাঠ করাতে পারবেন।
কিন্তু মমতা বিষয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় নিজেই শপথবাক্য পাঠ করানোর আগ্রহ দেখিয়েছন। এ ক্ষেত্রে আপত্তি জানিয়েছেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ও মমতার পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। উভয়েই ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্য ভবনে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হলে তারা উপস্থিত থাকবেন না।
জানা যায়, বিষয়টা সোমবার (৪ অক্টোবর) প্রথমে রাজ্যপালকে জানানো হয়েছে। রাজ্যপাল কি জানায় তারপরই মমতার শপথ ৭ অক্টোব হবে কি না, তা স্থির হবে।
তবে মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকতে হলে ভবানীপুর উপনির্বাচনে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কের জয় পেতেই হতো। সেই পরীক্ষায় সফল তৃণমূল নেত্রী। শুধু জয়ই পাননি, অতীতে সব নজির ভেঙে ৫৮ হাজার ৮৩৫ ভোটে জয়ী হয়েছেন ‘বাংলার দিদি’।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০২১
ভিএস/জেএইচটি