কলকাতা: সম্প্রতি শেষ হওয়া কলকাতার সিটি ভোটে ১৪৪টি আসনের মধ্যে মাত্র তিনটি ওয়ার্ডে জিতেছে বিজেপি। অথচ গত সিটি ভোটে দলটি সাতটি আসন পেয়েছিল।
শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) বড়দিনে সেই বিদ্রোহ আরও প্রকট হয়েছে।
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি নতুন কমিটি গঠন করেছে। শনিবার ছিল জেলাগুলোর কমিটি গঠনের দিন। সবস্তরেই ব্যাপক রদবদল হয়েছে। আর তারপরই নতুন কমিটি ঘিরে জোর শোরগোল বিজেপির অভ্যন্তরে। প্রকাশ্যে আসছে নেতৃত্বের ক্ষোভ-বিক্ষোভ এবং দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এদিন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন দলের একাধিক বিধায়ক। ফলে পশ্চিমবঙ্গের প্রধান বিরোধী দলে গোষ্ঠী কোন্দল সামনে আসতেই এক নতুন মাত্রা পেল বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা যায়, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দুই বিধায়ক ও নদীয়া জেলার এক বিজেপি বিধায়ক দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বের হয়ে গিয়েছেন। এরা হলেন- বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া, গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর ও হরিণঘাটার উত্তরের বিধায়ক অসীম সরকার। এর আগে নতুন গঠিত রাজ্য কমিটিতে জায়গা না পেয়ে দলীয় সব হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু।
প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভায় ৭৭টি আসন পায় বিজেপি। পরবর্তীতে রাজ্যের উপনির্বাচন এবং মমতার দলে ফিরে গিয়ে হাতে আছে মোট ৭২ জন বিধায়ক। ফলে প্রকাশ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামনে আসতেই শাসকদল কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না।
বিজেপির অন্দরের ক্ষোভ নিয়ে তৃণমূলের সংসদ সদস্য সৌগত রায় বলেছেন, ওদের স্বপ্নের ফানুস, একুশের বিধানসভায় দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফাটিয়ে দিয়েছেন। এবার তাই দলের মধ্যে নানা বিদ্রোহ হচ্ছে। এখন ওরা তৃণমূলকে আক্রমণ না করে নিজেদের ঘর সামলাক।
তবে কোন্দল প্রকাশ্যে আসার প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, নতুন কমিটি হলে অনেকের ক্ষোভ বাড়ে। কারণ অনেকের অনেক প্রত্যাশা থাকে। তা না মিটলে সাময়িক মনোমালিন্য বাড়ে যা অস্বাভাবিক নয়।
তবে কেন হঠাৎ একসঙ্গে একাধিক দলীয় বিধায়ক বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন? তা নিয়ে গ্রুপত্যাগী বিজেপি বিধায়করা সরাসরি মুখ খোলেননি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, ২৫ ডিসেম্বর ২০২১
ভিএস/এনএসআর