আগরতলা (ত্রিপুরা): পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী ১৫ দফা দাবিতে রাজভবন ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
বুধবার (০৫ জানুয়ারি) আগরতলার আস্তাবল ময়দান থেকে এক বিশাল মিছিল ভিআইপি রোড, রাধানগর, বুদ্ধ মন্দির হয়ে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে পৌঁছালে পুলিশ তাদের আটকে দেয়।
এদিন মিছিলের শুরুতে সদ্য প্রয়াত দলের নেতা মুজিবুর ইসলাম মজুদারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন কর্মী-সমর্থকরা।
এরপর দলের ত্রিপুরা প্রদেশ স্টিয়ারিং কমিটির কনভেনার সুবল ভৌমিক বলেন, গত ২৮ আগস্ট আগরতলার বাধারঘাট এলাকার বাসভবনে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতিরা মুজিবুর ইসলাম মজুমদারের ওপর হামলা চালায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে তার চিকিৎসা চলছিল এবং স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মারা যান। এভাবে দলের ছয় কর্মীর ওপর হামলা এবং পরবর্তীতে মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান সুবল ভৌমিক।
এছাড়াও এদিন গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে ১৫ দফা দাবির বিষয়টি উত্থাপন করেন তিনি।
সুবল ভৌমিক বলেন, ক্ষমতাসীন বিজেপির আশ্রিত দুষ্কৃতিরা রাজ্যের বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকদের ওপর অগণতান্ত্রিকভাবে হামলা চালাচ্ছে, এসব বন্ধ করতে হবে। রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়েছে, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নেই বললেই চলে। অথচ বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার আগে রাজ্যবাসীর জন্য প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দিয়েছিল। তারা বেকারদের জন্য কর্মসংস্থানের কথা বলেছিল, কিন্তু তাও করতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি যে কয়েকটা চাকরি ত্রিপুরা স্টেট রাইফেল বাহিনীতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে, তাতেও চরম দুর্নীতি হয়েছে। এর ফলে বিজেপি দলের কর্মী-সমর্থকরা রাজ্যজুড়ে তাদের অফিস ভাঙচুর করেছেন। সরকার ক্ষমতায় আসার আগে বলেছিল, কর্মচারীদের বেতন বাড়ানো হবে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ যেসব সামাজিক ভাতা পেতেন, তাও অনেকাংশে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতেই ত্রিণমূল কংগ্রেস রাজভবন ঘেরাও করেছে।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মন্ত্রী এবং ত্রিপুরা রাজ্যের পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক আশিস দাস বাপ্টু চক্রবর্তী, যুবনেতা রাকেশ দাস প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮, জানুয়ারি ০৫, ২০২২
এসসিএন/এনএসআর