ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

শুরু হলো ৪০তম আগরতলা বইমেলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪০ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২২
শুরু হলো ৪০তম আগরতলা বইমেলা

আগরতলা (ত্রিপুরা): নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুক্রবার (২৫ মার্চ) শুরু হয়েছে ৪০তম আগরতলা বইমেলা।  

রাজধানীর হাঁপানিয়া এলাকার আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণে আয়োজিত এ বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- ত্রিপুরা বিধান সভার স্পিকার রতন চক্রবর্তী, বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, আগরতলার বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ, ত্রিপুরা সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, ত্রিপুরা সরকারের জনজাতি কল্যাণ ও বন দপ্তরের মন্ত্রী মেবার কুমার জমাতিয়া, ত্রিপুরা সরকারের সমবায় দপ্তরের মন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল, আগরতলা পৌর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার প্রমুখ।

 

ত্রিপুরা সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, বইমেলা হচ্ছে মিলন মেলা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বয়সী মানুষের ভিড় দেখেই বোঝা যাচ্ছে। বর্তমান রাজ্য সরকার বইমেলাকে রাজধানীর বাইরে প্রসারিত করেছে। এখন প্রতিটি জেলাতে বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে। আগামী দিনে বইমেলাকে মহকুমা স্তরে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বক্তব্যের শুরুতেই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারত এবং বিশেষ করে ত্রিপুরার অবদানের কথা স্মরণ করে ধন্যবাদ জানান।  

তিনি বলেন, শুধু সীমানা দিয়ে সাংস্কৃতির বন্ধনকে আটকানো যায় না। ভারতের সঙ্গে সংস্কৃতির বন্ধন আরও প্রসারিত করার জন্য বাংলাদেশ কাজ করছে। জাতির পিতার কন্যার হাত ধরে সোনার বাংলাদেশের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছার জন্য কাজ করছেন। আগামী দিনে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক, বিশেষ করে ত্রিপুরার সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করা হচ্ছে।

কে এম খালিদ বলেন, আমাদের যে ভাষা, আপনাদেরও একই ভাষা। আমাদের সাংস্কৃতিক বন্ধনটাও একই রকম। এপার বাংলা, ওপার বাংলা। আমরা বিশ্বাস করি যতদিন আপনাদের নেতৃত্বের হাতে থাকবে দেশ, ততদিন আপনাদের রাষ্ট্রও সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হবে।  

ত্রিপুরা বিধান সভার স্পিকার রতন চক্রবর্তী বলেন, বইমেলা হচ্ছে জ্ঞানের সমুদ্র, আপনারা সবাই এ ক’দিন জ্ঞান আহরণ করুন।  

তিনি আরও বলেন, বই মাত্র দুইশ বছর আগে এসেছে। কিন্তু তা আমাদের হাজার হাজার বছরের জ্ঞান বিতরণ করছে।  

রতন চক্রবর্তী বলেন, বাংলাদেশ হচ্ছে আমাদের সবার প্রাণের দেশ। বাংলাদেশের জন্মের মধ্য দিয়ে আমরা তাকে আবার ফিরে পেয়েছি। পৃথিবীর যেকোনো জাতির চাইতে বাংলাদেশের মানুষ বেশি অতিথি পরায়ন।  

উদ্বোধনের পর উপস্থিত অতিথিরা বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন এবং মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখেন।  

এ বছর বইমেলার থিম আমার ত্রিপুরা, আমার গর্ব। মেলা চলবে আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত। মেলায় মোট স্টল রয়েছে ১৬২টি। এছাড়া প্রতিদিন সাংস্কৃতিক মঞ্চে থাকছে বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে আলোচনা, বিতর্ক, কুইজ ইত্যাদি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২২
এসসিএন/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।