কলকাতা: বাংলাদেশের আলোচিত অর্থ পাচারকারী প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার ও তার চার সহযোগীকে ফের ১০ দিনের রিমান্ডে পেয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি)। মঙ্গলবার (১৭ মে) আদালতে হাজির করে ১৪ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে বিচারক ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিনে দুপুর ১টার পর অভিযুক্তদের স্পেশাল সিবিআই আদালতে তোলা হয়। যেটি কলকাতার ব্যাঙ্কশাল আদালতের মধ্যে।
পি কে হালদার ও তার পাঁচ সহযোগীকে আগামী ২৭মে আবার আদালতে তোলা হবে। তবে ওই সময় পর্যন্ত পি কে হালদারের নারী সহযোগী আমানা সুলতানাকে কারাগারে থাকতে হবে।
ভারতীয় সংবিধানের সিআরপিসি ১৬৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী, পি কে হালদার ও তার চার সহযোগীকে আদালতে তোলার আগে ফের ১৪ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে ইডি।
এর আগে চার দিন রিমান্ড শেষ হয় তাদের।
সরকার পক্ষের আইনজীবী অরিজিত চক্রবর্তী বলেন, সিআরপিসি ১৬৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী আসামিদের আবার ১৪ দিনের রিমান্ড দেওয়া হোক। সেই সঙ্গে আমানা সুলতানাকে কারাগারে রাখা হোক।
আসামি পক্ষের আইনজীবী শেখ আলী হায়দার ও সোমনাথ ঘোষ বলেন, অভিযুক্ত স্বপন মৈত্র ও উত্তম মৈত্র থাইরয়েড এবং ব্লাড প্রেসারের রোগী। তাদের দিকে মানবিক নজর দেওয়া হোক। তারা আরও বলেন, আমরা বার বার সার্টিফাইড কপি চাইছি তা পাচ্ছি না। সেটা মঞ্জুর করলে ভালো হয়। অর্থাৎ অফিসিয়ালি কারা কারা গ্রেফতার তাদের নাম সরকারি ভাবে দেওয়া হোক।
এদিকে রায়ের আগে প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারদের আদালত থেকে বের করে দেন বিচারক।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট- এ মামলা করেছে ইডি । অর্থাৎ অবৈধভাবে অর্থপাচারের অভিযোগে মামলাটি হয়েছে। এই আইনের ৩ ও ৪ ধারায় মামলা করা হয়েছে গ্রেফতার ছয়জনের বিরুদ্ধে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২২
ভিএস/এসএ