কলকাতা: ভারতের একাধিক রাজ্যে লাফিয়ে বাড়ছে করোনাভাইরাস সংক্রমণ। ফের ভয় ধরাচ্ছে করোনার দৈনিক শনাক্তের হার।
বুধবার (১৫ জুন) দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৮ হাজার ৮২২ জনের। একই সঙ্গে মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। সব মিলিয়ে ভারতে ফের একবার নতুন করে করোনার সংক্রমণের এই প্রবণতা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
রাজধানী নয়া দিল্লিতে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। দিল্লিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ১১৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। একইভাবে করোনা কাঁপুনি ধরাচ্ছে মহারাষ্ট্রে। রাজ্যটিতে একদিনে শনাক্ত ২ হাজার ৯৫৬ জন। সেখানের বাণিজ্যনগরী মুম্বাইয়ে নতুন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৭২৪ জন। পাশাপাশি মহারাষ্ট্রে আরও দু’জন ওমিক্রনের নতুন প্রজাতি (বিএ.৫এ) আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে রাজ্যটির স্বাস্থ্য দফতর।
অপরদিকে ধীরে ধীরে পশ্চিমবঙ্গেও বাড়ছে করোনা শনাক্তের সংখ্যা। মাসখানেক আগেও যেখানে ৩-৪ জন দৈনিক করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলত এখন দিনে তা শতাধিক। গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি হিসাব অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৩৫ জন।
নতুন করে ভারতে করোনা পরিস্থিতি প্রকট হওয়ায় উদ্বেগ বাড়ছে দেশটিতে। তবে মহারাষ্ট্রে তৎপরতা বাড়লেও পশ্চিমবঙ্গ এখনও নিরুত্তাপ।
মহারাষ্ট্রে করোনা পরীক্ষা আরও মসৃণ গতিতে চালানোর জন্য যাবতীয় তৎপরতার নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মুম্বাই পৌরসভাকে। মাস্ক বাধ্যতামুলক করা হয়েছে রাজ্যটিতে। মাস্কহীন পথে বাহির হলে আইনি ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
তবে ভারতের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে করনোভাইরাস মাথাচাড়া দিলেও সেভাবে কোনোরকম হেলদোল নেই রাজ্য প্রশাসনের। সরকারি নির্দেশ থাকলেও প্রশাসন যেমন গা দিচ্ছে না, তেমনি কোথাও যেন কিছু হয়নি এমনই মনোভাব রাজ্যবাসীর মধ্যেও। বিনাদ্বিধায় মাস্ক ছাড়া পথে বের হচ্ছেন কলকাতাবাসী। নিয়ম থাকলেও তার আশপাশ দিয়ে যেতে নারাজ তারা। কলকাতা সিটি করপোরেশন যেন না দেখার ভান করে রয়েছে।
মাত্র আড়াই বছর আগে চীনের উহান শহরে ছড়িয়েছিল পড়েছিল করোনাভাইরাস। পর্যায়ক্রমে গোটা বিশ্বে ছড়িয়েছিল পড়েছিল এই ভাইরাস। বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছিল মহামারি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৩ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২২
ভিএস/এসএ