আগরতলা (ত্রিপুরা): প্রবল বর্ষণের কারণে উত্তর-পূর্ব ভারতের মেঘালয় রাজ্যের লামস্লাংগ এলাকায় ভূমিধসের ফলে সড়কপথে দক্ষিণ আসাম, মিজোরাম, মনিপুর এবং ত্রিপুরা রাজ্যের সঙ্গে ভারতের অন্যান্য প্রদেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশের ঢাকা হয়ে আগরতলা-কলকাতার মধ্যে প্রতিদিন দুটি করে বাস সার্ভিস-চালু করতে ত্রিপুরা সরকারের পরিবহন দপ্তরের পক্ষ থেকে শ্যামলী পরিবহন সংস্থাকে অনুরোধ করা হয়েছে।
অল্প সময়ের মধ্যে এই রুটে যাত্রীদের ভিসা অনুমোদন করার জন্য সহকারী হাইকমিশনারকে পরিবহণ দপ্তরের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ত্রিপুরা সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর থেকে পাঠানো এক প্রেস রিলিজে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস রিলিজে বলা হয়, রাজ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর মজুত সন্তোষজনক রয়েছে। ত্রিপুরা সরকারের পরিবহন দপ্তর ও খাদ্য দপ্তর উদ্ভুত পরিস্থিতির ওপর নিয়মিত নজর রাখছে। পরিবহন দপ্তরের প্রধান সচিব এল এইচ দারলং এবং খাদ্য দপ্তরের সচিব শরদিন্দু চৌধুরী প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে দপ্তরের বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছেন।
প্রবল বর্ষণের ফলে মেঘালয়ের খাসিয়া জয়ন্তিয়া হিলসের লামস্লাংগে ভূমিধ্বসে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিপর্যস্ত হয়।
ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা কেন্দ্রীয় বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে রাজ্যে অতিরিক্ত বিমান পরিষেবা চালু করা এবং রাজ্যের যাত্রীদের যাতায়াতের জন্য বিভিন্ন বিমান সংস্থার বিমান ভাড়া নির্দিষ্ট রাখার জন্য অনুরোধ করেছেন।
মেঘালয়ের খাসি হিলসের ডেপুটি কমিশনারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে যাতে বৃষ্টি বন্ধ হলে দ্রুত রাস্তা সংস্কার করে যান চলাচল স্বাভাবিক করা যায়।
প্রেস রিলিজে আরও বলা হয়, এই সময়ে রাজ্যে পেট্রোল, ডিজেল, গ্যাসসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর মজুত যথেষ্ট রয়েছে। তবুও দপ্তরের পক্ষ থেকে ফুড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া এবং আইওসিএল-এর সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে যাতে পরিস্থিতির ওপর নজর রেখে তারা দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারে।
বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে পেট্রোল, ডিজেল যাতে রাজ্যে আনা যায় সে বিষয়েও খাদ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে আইওসিএল-কে বলা হয়েছে। চাল, তেল, পেঁয়াজ, ডাল, আটার মজুত সন্তোষজনক। সবস্তরের ব্যবসায়ীসহ জনগণের সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করা হয়েছে দপ্তরের তরফে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২২
এসকেএন/এসএ