কলকাতা: সম্প্রতি প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ছোটবড় মিলিয়ে প্রায় শতাধিক বাংলাদেশি ট্রলার। এসব ট্রলারের মৎস্যজীবীদের উদ্ধার করে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী (আইসিজি), পশ্চিমবঙ্গের স্থানীয় মৎস্যজীবী এবং স্থানীয় পুলিশ।
তাদের তৎপরতায় সেসব ট্রলার থেকে উদ্ধার হয়েছে ১২২ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবী। উদ্ধার করা মৎস্যজীবীদের ধাপে ধাপে বাংলাদেশে পাঠানোর কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আগামী সোমবার (২৯ আগস্ট) আরও পাঠানো হচ্ছে ৮৮ জন মৎস্যজীবীকে। ওইদিন ৮৮ জন মৎস্যজীবীদের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনার কালিন্দী নদীর ধরে তাদের প্রত্যাবাসন করানো হবে। এর আগে মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) রাজ্যের হেমনগর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ভাসমান বিওপি থেকে দুই জন মৎস্যজীবীকে সাতক্ষীরায় বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। একই দিনে ৩২ জন মৎস্যজীবীকে ভারতীয় কোস্টগার্ড গভীর সমুদ্রে বাংলাদেশি কোস্টগার্ডের হাতে তুলে দেয়।
প্রসঙ্গত, এসব বাংলাদেশি মৎস্যজীবী গভীর সমুদ্রের মাছ ধরার উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছিল। কিন্তু ১৭ আগস্ট সন্ধ্যার পর থেকেই আবহাওয়া অবনতির শুরু করে, তা চলে ১৯ আগস্ট পর্যন্ত।
দু’দিন প্রবল বর্ষণের সঙ্গে ঝড়ের দাপটে উত্তাল হয়ে ওঠে সমুদ্র। ফলে মাঝ সমুদ্রে ভয়ঙ্কর দুর্যোগের সম্মুখীন হয় মৎস্যজীবীরা। অনেক ট্রলার ডুবে যায়, কারো ট্রলার ফুটো হয়ে পানি ঢুকতে শুরু করে। এমন অবস্থায় প্রাণ বাঁচাতে খড় কুটোর মত সমুদ্রে ভাসতে থাকেন তারা। এদের মধ্যে অধিকাংশ মৎস্যজীবীদের উদ্ধার করে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা। স্থানীয় মৎস্যজীবীদের প্রচেষ্টাতেও বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করা হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০২২
ভিএস/কেএআর