কলকাতা: অবাঞ্ছিত জলজ উদ্ভিদ কচুরিপানা থেকে শিল্প হবে। এমনই ভাবনা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের।
এ দফতরের সহযোগিতায় ভারতের বেশ কয়েকজন উদ্যোগতা পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনায় কারখানা তৈরি করেছেন। ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে এসব কথা জানিয়েছেন কলকাতা পৌরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
জানা গেছে, কলকাতাসহ রাজ্যের পরিত্যক্ত এবং ব্যবহৃত জলাশয়ে প্রচুর কচুরিপানা জন্মায়। এর প্রতিকার চেয়ে অনেকেই রাজ্য সরকারের কাছে আবেদনও করেছিলেন। রাজ্যবাসীর আবেদন ছিল, জলাশয় ভরাট না করে সরকারি তরফ থেকে কচুরিপানা পরিষ্কার করা।
শনিবার (২৭ আগস্ট) মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, একদিকে পরিবেশ রক্ষা করা এবং অন্যদিকে কচুরিপানা থেকে শিল্প গড়ার উদ্যোগ নিচ্ছে পৌরসভা ও রাজ্য সরকার। জলাশয় রক্ষার পাশাপাশি কচুরিপানার জন্য যাতে ডেঙ্গু, ম্যালারিয়ার মতো মশাবাহিত রোগ না ছড়িয়ে পড়ে, সেজন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মাঝারি, ছোট ও ক্ষুদ্রশিল্প দফতর উত্তর ২৪ পরগনায় কারখানা করার অনুমতি দিয়েছে। রাজ্যের জলাশয় থেকে কচুরিপানা তুলে সেই কারখানায় নিয়ে যাওয়া হবে।
মেয়র বলেন, অনেক জেলা প্রশাসক নিজেদের উদ্যোগে কচুরিপানার বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরি করছে, এমনকি বিদেশেও পাঠাচ্ছে। এ প্রক্রিয়াটি সরকারি স্তরে বড় আকারে করার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের মৎস দফতরের কাছেও এ জলাশয়গুলোতে মাছ চাষ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া যাতে ওয়ার্ড এবং স্থানীয় ক্লাব এসব জলাশয়ে মাছ চাষ করতে পারে তার জন্য রাজ্য সরকারের পাশপাশি কলকাতা পুরসভাও হাত বাড়িয়ে দেবে।
এর আগে, বনগা শহরের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া ইছামতী নদী থেকে কচুরিপানা দিয়ে ক্ষুদ্রশিল্প চালু করেছে এ অঞ্চলের প্রশাসন। বনগাঁ পুরসভার ২১টি ওয়ার্ডের ৬০০ নারী বর্তমানে এ প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছেন। আগ্রহ দেখাচ্ছেন অনেকেই। স্বল্প সময়ের প্রশিক্ষণে সেসব নারীদের তৈরি ব্যাগ, টুপি, ফুলের টব, ফলের পাত্র, পাপোশ, গৃহসজ্জার সরঞ্জাম যাচ্ছে বিদেশেও।
এ রকম উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্যের আরও কয়েকটি জেলা। তাতে সংসারের কাজ ও লেখাপড়ার পাশাপাশি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সাবলম্বী হচ্ছেন বহু নারী। রাজ্যের প্রান্তিক নারীদের সাবলম্বী এবং কম মূলধনে আয় বেশি হওয়ায় এ উদ্যোগ এবার সরাসরি রাজ্য সরকার নিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০২২
ভিএস/জেডএ