ঢাকা: স্বল্পমেয়াদী কৃষি ঋণ এবং কুটির শিল্প ও ক্ষুদ্র ঋণ পুনঃতফসিলিকরণের বিশেষ সুবিধার আওতায় এলো। চলতি বছরের জুলাই মাসের ভিন্ন একটি মাস্টার সার্কুলার স্পষ্টীকরণের মাধ্যমে এ সুবিধা দেওয়া হলো।
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সম্পর্কিত একটি সার্কুলার জারি করে দেশের সকল ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্তাকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, ‘স্বল্প মেয়াদী কৃষি ঋণ এবং কুটির ও মাইক্রো উদ্যোগের বিতরণকৃত ঋণসমূহ পুনঃতফসিলিকরণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মেয়াদ হবে প্রথমবার ৩ বছর এবং দ্বিতীয় ও তৎপরবর্তী প্রতিবার ২ বছর ছয় মাস। ’
সার্কুলারে বলা হয়, বিআরপিডি ২০২২ সালের ১৮ জুলাইয়ের ১৬ নম্বর সার্কুলারের প্রতি দৃষ্টি আর্কষণ করা যাচ্ছে। ওই সার্কুলারে বর্ণিত নির্দেশনার অধিকতর স্পষ্টীকরণ এবং এর যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সার্কুলারটির ওই অনুচ্ছেদটি প্রতিস্থাপন করা হলো।
এই সার্কুলারের ফলে করোনা মহামারি ও বৈশ্বিক যুদ্ধ অবস্থায় দেশের ক্ষতিগ্রস্ত স্বল্পমেয়াদী কৃষি, কুটির শিল্প ও মাইক্রো ক্রেডিটও ঋণ পুনঃতফসিলিকরণের বিশেষ সুবিধা পাবে। চলতি বছরের ১৮ জুলাই জারি করা বিআরপিডির মাস্টার সার্কুলার ১৬-তে এ সুযোগ ছিল না।
২০২২ সালের ১৮ জুলাইয়ের ১৬ নম্বর সার্কুলারে সংশ্লিষ্ট সার্কুলারে উল্লেখ আছে, ‘কৃষি ও ক্ষুদ্র ঋণ প্রথমবার পুনঃতফসিলের ক্ষেত্রে মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ ৩ বছর এবং দ্বিতীয় এবং ও তৎপরবর্তী প্রতিবার পুনঃতফসিলের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মেয়াদ হবে ২ বছর ছয় মাস। ‘
করোনা মহামারি ও বৈশ্বিক যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষি ও ক্ষুদ্র ঋণ তফসিলি ঋণের বিশেষ সুবিধা দিলেও বাইরে ছিল স্বল্পমেয়াদী কৃষি ঋণ ও মাইক্রো ক্রেডিট ঋণ। এই সার্কুলারের ফলে স্বল্প মেয়াদী কৃষি ঋণ এবং কুটির ও মাইক্রো উদ্যোগও সুবিধার আওতায় এলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২২
জেডএ/এমজেএফ