ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দেশ-বিদেশে পরিচিতি বাড়াতে বাজুস ফেয়ার শুরু ৯ ফেব্রুয়ারি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২৩
দেশ-বিদেশে পরিচিতি বাড়াতে বাজুস ফেয়ার শুরু ৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: দেশের জুয়েলারি শিল্পীদের হাতে গড়া অলংকার দেশে ও বিদেশে তুলে ধরতে এবং পরিচিতি বাড়াতে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে বাজুস ফেয়ার ২০২৩। দ্বিতীয়বারের মতো রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) নবরাত্রি হলে তিন দিনব্যাপী এ ফেয়ার অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়। এ সময় বাজুসের উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেল, বাজুসের সহ-সভাপতি ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটির অন ফেয়ার অ্যান্ড ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের চেয়ারম্যাান উত্তম বণিক লিখিত বক্তব্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন-২০৪১ সফল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীরের পরিকল্পনায় দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারে মতো বাজুস ফেয়ার-২০২৩ আয়োজন করা হয়েছে।  

তিনি বলেন, বাজুস ফেয়ার ২০২৩ দেশীয় জুয়েলারি শিল্পকে সমৃদ্ধশালী করার পাশাপাশি বিশ্ববাজারে একটি নতুন অবস্থান তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। দেশের স্বর্ণশিল্পীদের হাতে গড়া নিত্য-নতুন আধুনিক ডিজাইনের অলংকারের পরিচিতি বাড়বে। এই লক্ষ্যে বাজুস ফেয়ারে সব ক্রেতা ও দর্শনার্থীকে সাদর আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।
 
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশের অর্থনীতিতে অনবদ্য ভূমিকা রাখা বাংলাদেশের জুয়েলারি শিল্পের সবচেয়ে বড় আয়োজন এ ফেয়ার। আগামী ৯, ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি আইসিসিবির নবরাত্রিতে এই ফেয়ার অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বাজুস ফেয়ার ক্রেতা-দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।  

বাজুস ফেয়ারে প্রবেশ টিকিটের মূল্য জনপ্রতি ১০০ টাকা। পাঁচ বছর পর্যন্ত বয়সী শিশুদের টিকিট লাগবে না। বাজুস ফেয়ারে ক্রেতাদের জন্য র‍্যাফেল ড্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্রেতারা যে প্রতিষ্ঠানের অলংকার কিনবেন, সেই প্রতিষ্ঠান থেকেই র‍্যাফেল ড্রয়ের কুপন সংগ্রহ করবেন। এ ছাড়া জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রেতাদের মনোযোগ আকর্ষণে বিশেষ অফার ঘোষণা দিচ্ছে।

সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে বাজুসের সহ-সভাপতি ও বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন অ্যান্ড সোশ্যাল আ্যাফেয়ার্সের চেয়ারম্যান ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন বলেন, দেশে ও বিদেশে বাংলাদেশের জুয়েলারি শিল্পকে প্রমোট করার জন্য এই বাজুস ফেয়ারের আয়োজন করা হয়েছে। গতকাল আমাদের প্রেসিডেন্ট অনুমোদন দিয়েছেন বাজুস মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড চালু করার জন্য। আমরা এবার প্রথমবারের মতো এই অ্যাওয়ার্ড চালু করা হচ্ছে। ১১ জন স্বনামধন্য সাংবাদিকের বিচারক প্যানেল বিজয়ীদের নির্বাচন করবেন। মূলত প্রচারের জন্য এ আয়োজন করা হচ্ছে। এ ছাড়া তিন দিনের এই ফেয়ারে ছয়টি সেমিনার থাকবে। সেখানে মন্ত্রী, স্পিকার, সংসদ উপনেতা, নারী এমপি ও টপ সেলিব্রেটিরা অংশ নেবেন।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজার ডলারের দাম, দেশীয় বাজারের তেজাবী স্বর্ণের দামসহ সব কিছু বিবেচনায় নিয়ে স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়লে ও কমলে তা দেশের বাজারেও বাড়ে এবং কমে। টিকিটের দাম নিয়ে প্রশ্ন ছিল। আমি বলবো এখানে একটু নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন। সেজন্য টোকেন হিসেবে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি আমাদের ব্যাপক সমাগম প্রয়োজন রয়েছে। তারপরও একটি বিশেষ ধাতুর ব্যবসার নিরাপত্তার বিষয় রয়েছে। সেজন্য টিকিটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আমরা আশা করছি, বাংলাদেশের জুয়েলারি শিল্পের বিদ্যমান অবস্থা এবং এর ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা সম্পর্কে দেশের ১৮ কোটি মানুষ জানবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবার বাজুস ফেয়ারে আটটি প্যাভিলিয়ন, ১২টি মিনি প্যাভিলিয়ন এবং ৩০টি স্টলে দেশের ঐতিহ্যবাহী ৫০টি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। প্যাভিলিয়নে অংশ নেওয়া আটটি প্রতিষ্ঠান হলো- আমিন জুয়েলার্স লিমিটেড, আপন জুয়েলার্স, অলংকার নিকেতন (প্রা.) লিমিটেড, কুঞ্জ জুয়েলার্স, রয়েল মালাবার জুয়েলার্স (বিডি) লি., ভেনাস জুয়েলাস লিমিটেড, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেড ও জড়োয়া হাউজ (প্রা.) লিমিটেড।

মিনি প্যাভিলিয়নে অংশ নেওয়া ১২টি প্রতিষ্ঠান হলো- তিনায়েক গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ড, গোল্ডেন ওয়ার্ল্ড, গৌরব জুয়েলার্স, নিউ ফেন্সী জুয়েলার্স, দ্য পার্ল ওয়েসিস জুয়েলার্স, জায়া গোল্ড, জারা গোল্ড, আলভী জুয়েলার্স, রিজভী জুয়েলার্স, রয়েল ডায়মন্ড, ড্রিমজ ইন্সট্রুমেন্ট টেকনোলজি ও রাজ ঐশ্বরী গোল্ড।

স্টলে অংশ নেওয়া ৩০টি প্রতিষ্ঠান হলো- এল কে জুয়েলার্স, চৌধুরী গোল্ড, গীতাঞ্জলী জুয়েলার্স, রিয়া জুয়েলার্স, আনন্দ জুয়েলার্স, ডায়মন্ড হাউজ, আফতাব জুয়েলার্স, ফারিহা জুয়েলার্স, কে জুয়েলার্স লিমিটেড, রজনীগন্ধা জুয়েলার্স লিমিটেড, সুলতানা জুয়েলার্স (প্রা.) লিমিটেড, নিবিড় জুয়েলার্স, সিরাজ জুয়েলার্স, ডায়মন্ড বাজার অ্যান্ড গোল্ড, অনন্যা জুয়েলার্স, ডায়া গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ড, ডি. ডামাস দি আর্ট অব জুয়েলারি, ডি, ডায়মন্ড, কুইন পার্ল হাউজ, নিউ বসুন্ধরা জুয়েলার্স, সোল জেমস অ্যান্ড ডায়মন্ড, পলাশ জুয়েলার্স, ক্লাসিক গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ড জুয়েলারি, ডায়মন্ড কর্নার, গোল্ড কিং জুয়েলার্স, দি সোনারগাঁ জুয়েলার্স, মনিমালা জুয়েলার্স, আর এন মাইক্রোটেক, বাংলাদেশ ডাইস হাউজ ও এসজিএল ল্যাব বাংলাদেশ লিমিটেড।  

বাংলাদেশ সময়: ১১৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২৩
জিসিজি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।