ঢাকা: বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, বৈশ্বিক ক্রেতারা ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত পোশাক সোর্সিংয়ে বেশি আত্মবিশ্বাসী এবং আগ্রহ বোধ করেন। কারণ তারা জানেন তাদের পণ্য যে কারখানাগুলোতে তৈরি করা হয়, সেগুলো নিরাপদ এবং পরিবেশগতভাবে টেকসই।
তিনি বলেন, এ দেশের কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের জন্য কাজের সুবিধাজনক পরিবেশ রয়েছে। ব্যাপক নিরাপত্তামূলক উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি ব্যাপক সচেতনতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ কর্মসূচিগুলো বাংলাদেশের পোশাক খাতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছে। শ্রমিকরা এখন তাদের সব অধিকার এবং কল্যাণ সম্পর্কে আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন।
তিনি আরও বলেন, অধিকন্তু শিল্পটি পরিবেশগত টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে অনন্য অগ্রগতি অর্জন করেছে, যার কারণে শ্রমিকরা কর্মক্ষেত্রে আরামদায়ক পরিবেশের মধ্যে থেকে কাজ করছে।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাজ্যভিত্তিক রিটেইল কোম্পানি টেসকো আয়োজিত ‘রেসপেক্ট’ প্রোগ্রামের অংশীজনদের এনগেজমেন্ট সেশনে তিনি এসব কথা বলেন।
টেসকোর এই কর্মসূচির লক্ষ্য হচ্ছে পোশাক কারখানায় কর্মীদের মধ্যে সম্মানজনক ও শোভন আচরণের সংস্কৃতি তৈরি করা।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ভিক্টোরিয়া ওয়েলিংস (গ্রুপ কোয়ালিটি ডিরেক্টর, টেসকো); বিকেএমইএর সহ-সভাপতি ফজলে শামীম এহসান এবং এথিক্যাল ট্রেডিং ইনিশিয়েটিভ (ইটিআই) বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মুনির উদ্দিন শামীম।
অনুষ্ঠানে রেসপেক্ট কর্মসূচিতে অংশগ্রহনকারী কারখানাগুলোর প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফারুক হাসান বলেন, ব্যবসায় দীর্ঘমেয়াদী সাফল্যের জন্য আস্থা ও শ্রদ্ধার সংস্কৃতি অপরিহার্য। কারণ এ ধরনের অনুশীলন কর্মীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং তাদেরকে কর্মক্ষেত্রে আরও ভালো পারফর্ম করতে অনুপ্রাণিত করে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলো শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে আইনি বাধ্যবাধকতার বাইরেও অনেক উদ্যোগ নিচ্ছে।
বৈশ্বিক ক্রেতাদেরকে তাদের সরবরাহকারীদের সঙ্গে সহযোগিতা করার জন্য এবং কারখানায় পোশাক শ্রমিকদের কল্যাণে আরও উদ্যোগ নিতে সক্ষম ও উৎসাহিত করার জন্য নৈতিক মূল্য দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সামাজিকভাবে ন্যায্য পণ্য উৎপাদন করার জন্য কম মূল্য দেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩
এমকে/এমএমজেড