ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

ইসলামি ব্যাংকগুলোর তারল্য সুবিধা বাড়লো

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩
ইসলামি ব্যাংকগুলোর তারল্য সুবিধা বাড়লো

ঢাকা: সুষ্ঠু তারল্য ব্যবস্থাপনা ও আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে শরিয়াভিত্তিক পরিচালিত ব্যাংকগুলোয় ‘মুদারাবাহ লিকুউটিটি সাপোর্ট’ চালু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ইসলামি ব্যাংকগুলোও মুদারাবাহ আওতায় ৭, ১৪ ও ২৮ দিন মেয়াদি বিশেষ তারল্য সুবিধা নিতে পারবে।

সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে নিয়মিতভাবে এ সুবিধা নিতে পারবে।

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে। রোববার থেকেই এটি কার্যকর হয়েছে।

দেশে ১০টি শরিয়াভিত্তিক ব্যাংক রয়েছে। সম্প্রতি কয়েকটি ব্যাংকের আর্থিক কেলেঙ্কারি প্রকাশ পাওয়ায়, গ্রাহকরা আমানত তুলে নেন। এতে সেসব ব্যাংক তারল্য সংকটে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন আরও একটি লিকুইডিটি ফ্যাসিলিটি চালু করলো। এখান থেকে ব্যাংকগুলো সাপোর্ট নিয়ে তারল্য সংকটের চাপ সামলাতে পারে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং ইসলামি ব্যাংকের স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি নতুন শরিয়াহ সম্মত আর্থিক উপকরণ চালু করেছে, যা দেশের ইসলামি ব্যাংকিং ব্যবস্থার জন্য তারল্য সহায়তা (এমএলএস)। ব্যাংকগুলোর জরুরি তারল্য ঘটতি মেটানোর জন্য এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

মুদারাবাহ চুক্তির অধীনে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোকে সহায়তা দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি চলতি অ্যাকাউন্ট বজায় রাখে, যেখানে বিনিয়োগকারী এবং ব্যাংক একটি সম্মত লাভ শেয়ারিং রেশিও (পিএসআর) এর অধীনে বিনিয়োগ ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকগুলোর রেমিট্যান্স প্রণোদনা এবং আর্থিক উদ্দীপনা বা প্রণোদনা সুবিধার জন্য তারল্য সহায়তা দাবি করতে সক্ষম হবে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যে বিশেষ স্কিম বা প্রোগ্রামের বিপরীতে প্রাপ্ত ভর্তুকি বা প্রণোদনা থেকে উদ্ভূত বাংলাদেশ সরকারের ওপর ব্যাংকগুলোর দাবিগুলো সুবিধার জন্য জামানত হিসেবে বিবেচিত হবে। মুদারাবাহ তারল্য সহায়তার প্রয়োগকৃত পরিমাণ ন্যূনতম ১০ কোটি টাকা হতে হবে।

গত বছরের ডিসেম্বরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুকুকের আওতায় ১৪ দিনের মেয়াদী ইসলামিক ব্যাংক লিকুইডিটি সুবিধা চালু করেছিল। গত বছরের সেপ্টেম্বরের শেষে, ইসলামি ব্যাংকগুলোতে অতিরিক্ত তারল্য দাঁড়িয়েছে ১৭,৫২৫ কোটি টাকা, যা জুন প্রান্তিকের থেকে ৩২ দশমিক ৬১ শতাংশ কমেছে।

প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলোকে বন্ড ও বিভিন্ন রকম সিকিউরটির অধীনে নানা রকম তারল্য সুবিধা দিয়ে থাকে। এ সার্কুলারের ফলে শরিয়াভিত্তিক ব্যাংকগুলোও শুকুকের বিপরীতে সুবিধাসহ নতুন আরও একটি সুবিধা পেলো।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২৩
জেডএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।