ঢাকা, বুধবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ জুন ২০২৪, ১৮ জিলহজ ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

সুপার ব্র্যান্ডস বাংলাদেশ স্বীকৃতি পেলো বসুন্ধরার ৪ পণ্য

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৩
সুপার ব্র্যান্ডস বাংলাদেশ স্বীকৃতি পেলো বসুন্ধরার ৪ পণ্য

ঢাকা: সুপারব্র্যান্ডস হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের চার পণ্য। এগুলো হলো: বসুন্ধরা ডায়াপার, বসুন্ধরা এলপি গ্যাস, বসুন্ধরা পেপার ও বসুন্ধরা টিস্যু।

এছাড়া দেশের আরও ৪০টি প্রতিষ্ঠানকে আগামী দুই বছরের জন্য সুপারব্র্যান্ডস বাংলাদেশ স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর শেরাটন হোটেলে এক জাঁকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ২০২৩-২০২৪ সালের জন্য বাংলাদেশের সুপারব্র্যান্ডগুলো নাম ঘোষণা করা হয়।

অনুষ্ঠানে একইসঙ্গে আগামী দুই বছরের জন্য সুপারব্র্যান্ডস প্রকাশনার প্রচ্ছদ উন্মোচন করা হয়েছে।

সুপারব্র্যান্ডস বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ডগুলোর জন্য একটি আন্তর্জাতিক আর্বিটার যা বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ৯০টি দেশে বিস্তৃত রয়েছে। ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এ প্রতিষ্ঠানটি বৈশ্বিক ব্র্যান্ডগুলোর জন্য সর্বোচ্চ সাফল্যের প্রতীক। ব্যবসায়িক ও সামাজিক ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্র থেকে স্বনামধন্য নিরপেক্ষ এবং স্বাধীন একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেলের নিবিড় তত্ত্বাবধানে এবারের সুপারব্র্যান্ডগুলো বাছাই করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ এ প্যানেলকে ‘ব্র্যান্ড কাউন্সিল’ হিসেবে অভিহিত করা হয়।

অনুষ্ঠানে সম্মাননা দেওয়ার পাশাপাশি ২০২৩-২০২৪ সালের সুপারব্র্যান্ডস প্রকাশনাটির প্রচ্ছদ উন্মোচন করা হয়। দেশ বরেণ্য ভিজ্যুয়াল আর্টিস্ট নাজিয়া আন্দালিব প্রিমা সুপারব্র্যান্ডস বাংলাদেশ ২০২৩-২০২৪ এর প্রচ্ছদটি ডিজাইন করেছেন। এ প্রকাশনাটি আগামী দুই বছরের জন্য নির্বাচিত প্রতিটি ব্র্যান্ডের একটি সংকলন।

সম্মাননা দেওয়ার শুরুতে সুপারব্র্যান্ডসের বাছাই প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেন ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিবিউশনস কোম্পানি বাংলাদেশ (প্রাইভেট) লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আশরাফ বিন তাজ।

তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিকভাবে প্রচলিত নিয়মকে অবলম্বন করেই বাংলাদেশের সুপারব্র্যান্ডগুলোকে বাছাই করা হয়েছে। একাধিক মানদণ্ডে যাচাই করেই প্রক্রিয়াটি ভিন্ন ভিন্ন বিভাগে সেরা ব্র্যান্ডগুলোকে বাছাই করে নিয়ে এসেছে। ’

বৈশ্বিক নিয়ম অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক সুপারব্র্যান্ডস টিমের অনুমোদনে ১৬ সদস্যের বাংলাদেশ ব্র্যান্ড কাউন্সিল গঠন করা হয়। এ কাউন্সিলে ছিলেন দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিয়োজিত স্বনামধন্য ব্যক্তিরা।

কাউন্সিলটি ২০ নম্বরের মানদণ্ডে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে যাচাই করে মানদণ্ড হিসেবে পাঁচটি বিষয়কে গণ্য করা হয়: ১. ব্র্যান্ড হেরিটেজ, ২. ব্র্যান্ড রেলিভেন্স ইন ক্যাটাগরি, ৩. পারসিভড কোয়ালিটি, ৪. পারসিভড পারফরমেন্স, ৫. টপ অব মাইন্ড এওয়ারনেস।
যাচাইয়ের পর সর্বোচ্চ নম্বরধারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে সুপারব্র্যান্ডস মর্যাদা গ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ পাঠানো হয়। আমন্ত্রণ গ্রহণকারী এবং সবগুলো ধাপে সঠিকভাবে উত্তীর্ণ ব্র্যান্ডগুলোকেই পরবর্তীতে এই আয়োজনের মাধ্যমে সুপারব্র্যান্ডস মর্যাদা দেওয়া হয়।

সুপারব্র্যান্ডস বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘একটি ব্র্যান্ড তার পণ্য এবং সেবা উভয় ক্ষেত্রেই বছরব্যাপী মান বজায় রেখেই একটি মানসম্পন্ন এবং বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড হয়ে উঠে। এ বিশ্বস্ততা বা আস্থার জায়গাটি ধারাবাহিকভাবেই একটি ব্র্যান্ডকে সুপারব্র্যান্ড হিসেবে গড়ে তুলে। ’

বাংলাদেশ সময়: ২৩১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৩
ইএসএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।