ঢাকা: আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে শতভাগ ‘অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর’ (এলডি ট্যাক্স/জমির খাজনা) আদায় শুরু হলে সরকারের রাজস্ব সংগ্রহ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে বলে জানিয়েছেন ভূমি সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান। একইসঙ্গে স্থানীয় পর্যায়ে অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর দিতে উৎসাহিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ মাঠ পর্যায়ে পুরাতন নামজারির ডাটা এন্ট্রির ব্যাপারেও দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে বিভাগীয় কমিশনারদের নির্দেশ দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিভাগীয় কমিশনারদের সঙ্গে সমন্বয় সভায় সভাপতিত্ব করার সময় ভূমি সচিব এসব কথা বলেন।
২০২১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর উদ্বোধনের পর থেকে এ পর্যন্ত শুধু অনলাইনেই ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হয়েছে ৩৭৫ কোটি টাকা। আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে ম্যানুয়ালি ভূমি উন্নয়ন কর আদায় বন্ধ হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে ভূমি উন্নয়ন কর কেবল অনলাইনেই দেওয়া যাবে।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রাজধানী ঢাকার তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ভূমি ভবনে পরীক্ষামূলকভাবে স্থাপিত নাগরিক ভূমিসেবা কেন্দ্র থেকে ভালো ফিডব্যাক পাওয়া যাচ্ছে। পর্যায়ক্রমে জেলা পর্যায়ে এ সেবা সম্প্রসারণ করা হবে। জেলাভিত্তিক এজেন্ট নিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকদের ভূমিসেবা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে। এজন্য প্রাইভেট এজেন্টশিপ নীতিমালা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, কলসেন্টার ১৬১২২ ছাড়াও এসব সেবা কেন্দ্রে নাগরিকরা সরাসরি গিয়ে ভূমি সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এছাড়া প্রাইভেট এজেন্ট কার্যক্রম মনিটরের জন্য সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। উপজেলা ও জেলাভিত্তিক নাগরিক কমিটি করা হবে।
অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর, ডিজিটাল রেকর্ড রুম, আন্তঃজেলা ভূমি বিরোধ, ভূমি অফিস নির্মাণ, জনবল নিয়োগসহ প্রভৃতি ভূমিবিষয়ক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় সমন্বয় সভায়।
সভায় ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে এম শামিমুল হক ছিদ্দিকী, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আব্দুল বারিকসহ বাংলাদেশের সব বিভাগীয় কমিশনার এবং ভূমি মন্ত্রণালয় ও আওতাভুক্ত দপ্তর/সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৩
জিসিজি/আরবি