ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ছুটির দিনে জমজমাট পর্যটন মেলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০২৩
ছুটির দিনে জমজমাট পর্যটন মেলা পর্যটন মেলায় দর্শনার্থীদের ভিড়

ঢাকা: নিলয়-সুরমা দম্পতি। সম্প্রতি বিয়ে করেছেন তারা।

অফিস আর সংসারের ঝামেলায় হানিমুনে যাওয়া হয়নি নানা ব্যস্ততায়। তাই দুজনেই এসেছেন পর্যটন মেলায়। লক্ষ্য সাধ্যের মধ্যে একটি ট্রাভেল প্যাকেজ কেনা। শেষমেশ কিনলেনও।

বলছিলাম ট্যুর অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব) আয়োজিত ১১তম ফার্স্ট ট্রিপ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ারের (বিটিটিএফ) কথা। মেলার এবারের ভেন্যু বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার।

শুক্রবার (৩ মার্চ) মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে এমন বেশ কিছু ঘটনার দেখা মিলল। মেলায় এসেছিলেন শাহেদ শওকত-জুলেখা নাহার দম্পতি। রেলওয়ে কর্মকর্তা শওকত সস্ত্রীক থাকেন শাজাহানপুর এলাকায়। তারা কক্সবাজার যাবেন। ডিসকাউন্টে রিসোর্ট বুক করতে এসেছিলেন তারা। ফেরার পথে কথা হয় বাংলানিউজের সঙ্গে।

শওকত বাংলানিউজকে বলেন, সত্যি বলতে রিসোর্ট বুক করলাম, সেটা মুখ্য উদ্দেশ্য হলেও মূলত মেলা ঘুরে দেখতেই এলাম আসলে। দেখলাম। মেলার আয়োজনটা ভালো লেগেছে। বেশ জমজমাট।

চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ যাওয়ার কথা আলফাজ হোসেনের। তিনি এসেছিলেন ঢাকা-ব্যাংকক রুটের ফ্লাইট শিডিউল ও টিকেট সংক্রান্ত খোঁজখবর নিতে। জানতে চাইলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমার লিভারে সমস্যা আছে। বাংলাদেশে ডাক্তার দেখিয়েছি৷ বিশেষ লাভ হয়নি। এক আত্মীয়র পরামর্শে তাই থাইল্যান্ড যেতে চাওয়া। তো, বুঝতেই পারছেন সে সংক্রান্ত খোঁজখবর নিতেই মেলায় আসা।

এমন ছোট-বড় বিভিন্ন গল্প আর চাওয়া-পাওয়া নিয়ে আজ ছুটির দিনে জমজমাট ছিল মেলা প্রাঙ্গণ। মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এবারের মেলায় ৩টি হলে ১৪টি পেভিলিয়নসহ ১৪৬টি স্টল রয়েছে। মেলায় অংশ নেওয়া বিক্রেতা ও প্রতিষ্ঠান মালিকরা জানালেন মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভালো সাড়া মিলছে। এতে মোটের উপর সন্তুষ্ট তারা৷ 

মেলায় ভারত, নেপাল, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভিয়েতনাম, জাপান ও তুরস্কের ট্যুর অপারেটর ও ট্রাভেল এজেন্টরা অংশগ্রহণ করেছে। পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক ও দেশি এয়ারলাইন্স, ট্যুরিজম বোর্ড, ট্রাভেল এজেন্সি, ট্যুর অপারেটর, হোটেল, রিসোর্ট, ক্রুজ লাইনার, হসপিটাল প্রদর্শক হিসেবে মেলায় অংশগ্রহণ করেছে।

এবারের মেলার সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, এফবিসিসিআই এবং বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশ।

মেলায় আগত দর্শনার্থীদের জন্য প্রতিদিন সাংস্কৃতিক আয়োজন এবং দেশের পর্যটন গন্তব্যের উপর নির্মিত প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য মেলা উন্মুক্ত থাকছে। মেলায় প্রবেশ মূল্য ৩০ টাকা তবে ছাত্রছাত্রী ও মুক্তিযুদ্ধাদের জন্য মেলায় প্রবেশ উন্মুক্ত। তিন দিনব্যাপী মেলার শনিবার (৪ মার্চ) পর্দা নামার কথা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২৩
এমকে/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।