ঢাকা, বুধবার, ৯ আশ্বিন ১৪৩২, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১ রবিউস সানি ১৪৪৭

অর্থনীতি-ব্যবসা

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ৩১ বিলিয়নের ঘরে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:৩৪, মার্চ ৯, ২০২৩
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ৩১ বিলিয়নের ঘরে

ঢাকা: বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চায়ন (রিজার্ভ) কমে ৩১ বিলিয়নের ঘরে ঠেকেছে। গত বুধবার (১ মার্চ) রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার।

গত মঙ্গলবার এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (এসিইউ) দায় হিসেবে রিজার্ভ থেকে ১০৫ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়। এর ফলে রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ৩১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলারে।

দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার দিয়ে প্রায় চার মাসের (প্রতি মাসে ৮ বিলিয়ন হিসাবে) আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।

এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন আন্তঃদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা। যার মাধ্যমে বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, ভুটান, ভারত, ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যে লেনদেনের দায় পরিশোধ হয়ে থাকে। প্রতি দুই মাস অন্তর নিজেদের মধ্যকার দায় নিষ্পত্তি করা হয়।

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের কারণে বেড়ে যায় আমদানি ব্যয়ও। এর প্রভাব পড়ে দেশে দেশে। বিশেষ করে আমদানি নির্ভর দেশগুলোর আমদানি ব্যয় বেড়ে যায়। এতে টান পড়ে বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারে। বাংলাদেশও এই সংকটে পড়ে।

২০২২ সালের মার্চের প্রথমার্ধে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল যেখানে ৪৪ বিলিয়নের ঘরে। বাড়তি আমদানি ব্যয় মেটাতে রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ৩১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার।

মূলত আমদানি ব্যয় সামাল দিতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করার কারণে ডলারের পরিমাণ কমে যায়। গত ২০২১-২২ অর্থ বছরে বিক্রি করা হয় ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে প্রতিনিয়ত ডলার বিক্রির ফলে বাজার থেকে টাকা উঠে আসছে বাংলাদেশ ব্যাংকে। এতে রিজার্ভ কমছে। এ পরিস্থিতি দূর করতে আমদানি দায় কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

রিজার্ভের পতন ঠেকাতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রথম কিস্তির প্রায় ৪৭ কোটি ডলার রিজার্ভে যোগ হয়েছে। তারপরও কমছে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চায়ন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩১ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২৩
জেড/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।