ঢাকা: বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, দেশের তৈরি পোশাক শিল্প শ্রমিকদের, বিশেষ করে নারী শ্রমিকরা এ শিল্পের প্রাণকেন্দ্রে রয়েছে, তাদের জন্য নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিজিএমইএ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, যেহেতু আমরা স্বীকার করি এ শিল্পে শ্রমিক ভাই-বোনরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
সোমবার (১২ মার্চ) ঢাকায় ইউনিসেফ হাউসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ফারুক হাসান বলেন, পোশাকখাতে নারী কর্মীদের স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করার জন্য শিল্প কীভাবে চেষ্টা করছে, তার একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে মাদার্স ওয়ার্ক প্রকল্পে বাংলাদেশ সরকার এবং ইউনিসেফের সঙ্গে আমাদের সক্রিয় সম্পৃক্ততা।
তিনি বলেন, বিজিএমইএ তার কৌশলগত রূপকল্পের মূলে শোভন ও অন্তর্ভূক্তিমূলক কর্মক্ষেত্র তৈরির বিষয়টিকে রেখেছে এবং পোশাক শিল্পে কর্মরত নারীদের জন্য পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা, পুষ্টি এবং নিরাপদ কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা মা ও শিশুদের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য স্টেকহোল্ডার এবং সদস্য কারখানাগুলোর সঙ্গে কাজ করছি। যথাযথ মাতৃত্বকালীন সুবিধা এবং ব্রেস্টফিডিং-বান্ধব কর্মক্ষেত্র কারখানার কর্মীদের মধ্যে কাজের বিষয়ে গভীর সন্তোষ সৃষ্টি এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতি বিশ্বস্ততায় অবদান রাখে।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক বলেন, আমাদের বেশিরভাগ কারখানাগুলো এখন জানে যে কর্মক্ষেত্রে বুকের দুধ খাওয়ানো মায়েদের সহায়তা করার মাধ্যমে অনেক ব্যবসায়িক সুবিধা পাওয়া যায় এবং কারখানাগুলো এ বিষয়ে ক্রমবর্ধমানভাবে সচেতন হচ্ছে।
শ্রমিকদের কল্যাণে আইনি বাধ্যবাধকতার বাইরে গিয়ে দেশের পোশাক কারখানাগুলো যেসব ভালো উদ্যোগ গ্রহণ করছে, সেগুলোর প্রশংসা করা ও প্রচার করার জন্য মিডিয়াসহ সব স্টেকহোল্ডারদের প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফের ফিল্ড সার্ভিসের প্রধান ড. সাজা ফারুক আবদুল্লাহ, পুষ্টি ব্যবস্থাপক ডা. সাফিনা আব্দুল লোয়েভা, চিফ রিসোর্স মোবিলাইজেশন অ্যান্ড পার্টনারশিপস এলিসা কর্টেস গিল এবং চিফ নিউট্রিশন পিয়ালী মুস্তফিল।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২৩
এমকে/আরআইএস