ঢাকা: পবিত্র রমজানের শুরুতে অর্থাৎ মার্চ মাসে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯.৩৩ শতাংশে উঠেছে। মূল্যস্ফীতির এ হার আগের মাসের চেয়ে দশমিক ৫৫ শতাংশ বেশি।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) রাজধানীর শেরেবাংলানগরে একনেক সভা শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এ তথ্য জানান। তিনি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ তথ্য উপস্থাপন করেন।
মূল্যস্ফীতি আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, মাছ, মাংস, সবজি, মসলা ও তামাকজাতীয় পণ্যে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে বাড়িভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন ও শিক্ষা উপকরণের দাম। এর প্রভাব পড়েছে উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে।
পরিসংখ্যান ব্যুরো বলছে, খাদ্য খাতে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার হয়েছে ৯ দশমিক ০৯ শতাংশ, গত মাসে যা ছিল ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ।
পূর্ব আশঙ্কা অনুযায়ী মূল্যস্ফীতি বেড়েছে বলে জানান পরিকল্পনা মন্ত্রী এম আব্দুল মান্নান। তিনি বলেন, আগেই বলেছিলাম মূল্যস্ফীতি বাড়বে। সেই ধারাবাহিকতায় মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ হয়েছে। তবে আল্লাহ বাঁচিয়েছে ১০ শতাংশ হয়নি।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, জ্বালানি তেলের দামের ফলে আবারও মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে। কারণ সৌদি আরব ও রাশিয়া তেলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০২৩
জেডএ/এসএ